বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ মিসরে বাংলাদেশি ছাত্রদের সংগঠন ‘ইত্তিহাদ’-এর নতুন কমিটি

পাকিস্তানের যে ‘গোপন অস্ত্র’ ঘুম কেড়ে নিচ্ছে ভারতীয়দের!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা মারাত্মক রূপ নিয়েছে। সীমান্তে টানা ১১ দিন ধরে গোলাগুলি, যুদ্ধের আশঙ্কা, পাল্টাপাল্টি প্রস্তুতি—সব কিছু মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় আবারও যুদ্ধের আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ভারতের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মধ্যে নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আধুনিক অস্ত্র Airborne Early Warning and Control Systems (AEW&C) বা এওয়াক্স। এটি বিমানে স্থাপিত একটি রাডার সিস্টেম, যা আকাশে ভাসমান অবস্থায় শত্রু বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য হুমকি শনাক্তে অসাধারণ দক্ষতা রাখে।

পাকিস্তানের হাতে থাকা ১১টি AEW&C বিমানে সুইডেনের উন্নত ‘Ericsson Erieye radar’ সজ্জিত। এগুলো পাকিস্তানের আকাশে মোবাইল কমান্ড সেন্টার হিসেবে কাজ করে। সীমান্তে ভারতীয় জেট ঢুকলেই, তা দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়।

এই তথ্যের ভিত্তিতে পাকিস্তান দ্রুত সক্রিয় করতে পারে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, যা ভারতীয় মিসাইল বা বিমানকে মাঝ আকাশেই গুঁড়িয়ে দিতে পারে।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মনে করেন, এই রাডার প্ল্যাটফর্ম না ধ্বংস করা পর্যন্ত পাকিস্তানের আকাশে অভিযান চালানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এটি শুধু নজরদারিই নয়, যুদ্ধক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও তাৎক্ষণিক সুবিধা দেয়।

এই পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের AEW&C ব্যবস্থার মাধ্যমে তারা কৌশলগতভাবে কিছুটা এগিয়ে আছে। ভারত এ ব্যবস্থাকে অকার্যকর না করলে, পেহেলগাম হামলার প্রতিশোধ নেয়াও হবে জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে এখন শুধু যুদ্ধবিমান নয়, তথ্য প্রযুক্তি ও রাডার ক্ষমতার লড়াইও চলছে।

 এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ