বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয় উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়োতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী (ঢাকা-৫ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে জাতীয় নির্বাচন হলেই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেই ক্ষমতাবলে গণভোট দিয়েছেন সেই ক্ষমতাবলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও গণভোট আয়োজন করতে পারে। যারা জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটকে অসাংবিধানিক ও অযোক্তিক দাবি করছে তাদেরকে জিয়াউর রহমানের গণভোট অসাংবিধানিক কিংবা অযৌক্তিক কিনা তা জাতির সামনে স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সংবিধান জনগণের অভিপ্রায় থেকে উর্ধ্বে নয়। জনগণ যেভাবে চায় সংবিধান সেভাবেই রচিত হবে। মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যাত্রাবাড়ী-মাতুয়াইল থানা কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
কামাল হোসেন বলেন, হাসিনার তৈরি সংবিধান জনগণ মানে না বলেই জুলাই বিপ্লব হয়েছে। আওয়ামী লীগ সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে দলীয় সংবিধানে রূপ দিয়েছে। এই সংবিধান দেশ ও জাতির কল্যাণে নয়। এই সংবিধান ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর কল্যাণে রচিত হয়েছে। বেগম জিয়া বহু আগে বহুবার বলেছেন, হাসিনার তৈরি এই সংবিধান ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। তিনি বলেননি সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তিনি ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার কথা বলে নতুন সংবিধান লেখার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যারা হাসিনা তৈরি সংবিধানের দোহাই দিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তারা আওয়ামী লীগের মতোই ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ফ্যাসিবাদের পথ চিরতরে বন্ধ করতে নভেম্বরের মধ্যে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণভোট সম্পন্ন করতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জুলাই সনদের ভিত্তিতেই ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। নতুবা জনগণ মেনে নেবে না, বসে থাকবে না।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যাত্রাবাড়ী-মাতুয়াইল থানা আমীর এম আর মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম। এছাড়াও সম্মেলনে যাত্রাবাড়ী-মাতুয়াইল থানার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার পল্টন, ফকিরাপুল, শাহজাহানপুর, রাজারবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল ও বিজয়নগরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর (ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে এক প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমেদ খান, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মাওলানা শরীফুল ইসলাম, মতিঝিল উত্তর থানা আমীর মো. শামসুল বারী, মতিঝিল পূর্ব থানা আমীর মো. নুরুদ্দিন, শাহজাহানপুর পশ্চিম থানা আমীর মো. সরোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী সোহেল রানা মিঠু, পল্টন থানা নায়েবে আমীর এডভোকেট মারুফুল ইসলাম, পল্টন থানা সেক্রেটারী মঞ্জুরুল ইসলাম, শাহবাগ পূর্ব থানা সেক্রেটারী নুর নবী রায়হান সহ বিভিন্ন থানার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় ড. হেলাল উদ্দিন উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন অবস্থাতেই জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে সম্ভব নয়। একজন ভোটার গণভোটের সবগুলো প্রস্তাব পড়ে, বুঝে ভোট দেওয়ার জন্য যেই সময়ের প্রয়োজন একই দিনে জাতীয় নির্বাচন হলে সকল ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সময়-সুযোগ পাবে না। ফলে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট দুটিই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তিনি আরও বলেন, যারা বলে জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একই দিনে হলে ৩ হাজার কোটি টাকা বাচঁবে তাদের কাছে শহীদদের রক্তের চেয়ে টাকার মূল্য বেশি। তারা শহীদদের স্বীকার করে না, শহীদের রক্তকে সম্মান করে না। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া না হলে আবারো ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটবে, শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে। জামায়াতে ইসলামী এদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না। জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যা যা করণীয় জনগণ তার সবটাই করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।  

এলএইস/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ