বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ

ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফিলিপিন সাগরে উদ্ভূত টাইফুন (ঘূর্ণিঝড়) কালমেগির আঘাতে দেশটিতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০০ জন এবং এখনও নিখোঁজ আছেন ২৬ জন। ফিলিপাইনের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আয়ারল্যান্ডভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরটিই।

গতকাল (৪ নভেম্বর) মঙ্গলবার ফিলিপিন সাগর থেকে ফিলিপাইনের কেবু প্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে টাইফুন কালমেগি। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই প্রদেশেই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। কেবুর প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র রন রামোস জানিয়েছেন, প্রদেশের বিভিন্ন শহর এবং বন্যা কবলিত এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৮৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দেশটির জাতীয় বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের উপ-প্রশাসক রাফায়েলিতো আলেজান্দ্রো জানান, কেবুর সংলগ্ন অন্যান্য প্রদেশ থেকে আরও ১৭ জন নিহতের সংবাদ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় এক বেতার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়ে আলেজান্দ্রো বলেন, “এখনও ২৬ জন নিখোঁজ আছেন। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কেবুর বড় শহরগুলোর সবগুলোই বন্যায় ডুবে গেছে। এমনকি সবচেয়ে নগরায়িত এলাকগুলোতেও ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি।”

এদিকে মঙ্গলবার কালমেগি আঘাত হানার আগের ২৪ ঘণ্টায় কেবু প্রদেশ ও তার আশপাশের প্রদেশগুলোতে ব্যাপক ও ভারী বর্ষণ হয়েছে। প্রাদেশিক আবহওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা চারমাগ্নে ভারিলা আরটিইকে জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে প্রদেশের প্রধান শহর কেবু সিটিতে— ১৮৩ মিলিমিটার।

ভারি বৃষ্টির ফলে প্রদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীগুলোর পানিও প্রচুর বেড়েছে। ফলে প্রদেশজুড়ে দেখা দেয় বন্যা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আজ বুধবার ভোর ৪টা ৫টার দিকেও বন্যায় কোথাও দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না। অনেকের বাড়িঘর-দোকানপাট ভেসে গেছে।”

সরকারি তথ্যের বরাতে জানা গেছে, এই ঝড়ের কারণে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থান ও আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে প্রায় চার লাখ মানুষ।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ