বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ ।। ২ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২২ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
গোলাপগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা, এরদোয়ানের কঠোর বার্তা জুলাই আন্দোলনে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অবদান' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  নির্বাচন ঠেকাতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল ষড়যন্ত্রমূলক জঙ্গি মামলার প্রতিবাদে সরব হওয়ার আহ্বান আসিফ আদনানের সাজানো জঙ্গি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ওলামা মাশায়েখ পরিষদের মানববন্ধন পতিত ফ্যাসিস্ট-খুনীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খেলাফত মজলিস ঢাকা-১৮ আসনে রিকশা প্রতীকে মনোনয়ন পেলেন মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিন ৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ব্যাংক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আবার ফ্যাসিবাদের উত্থান হবে: জামায়াত

গাজায় মানবিক সংকটের কোনও প্রমাণ নেই : ইসরায়েল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা ১৮ মাস ধরে চালানো এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৫২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল গাজাতে সর্বাত্মক অবরোধও জারি রেখেছে।

এর ফলে গাজায় বহু মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন। সৃষ্টি হয়েছে মানবিক সংকট। তবে ইসরায়েলের দাবি, গাজায় মানবিক সংকটের কোনও প্রমাণ নেই। যুদ্ধবিরতির সময় ২৫ হাজারের বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে দিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

 বার্তাসংস্থাটি বলছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েল দাবি করেছে, গাজা উপত্যকায় কোনও মানবিক সংকট নেই, যদিও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো, জাতিসংঘ এবং স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের দেওয়া তথ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছে।

ইসরায়েলের উপ-রাষ্ট্রদূত ব্রেট জনাথন মিলার মঙ্গলবার জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের মূল্যায়নে দেখা যাচ্ছে, গাজায় এই মুহূর্তে কোনও মানবিক সংকট নেই”। তিনি জাতিসংঘে বলেন, ইসরায়েল গত যুদ্ধবিরতির সময় ২৫ হাজারের বেশি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করতে দিয়েছে, যাতে খাদ্য, জ্বালানি এবং ওষুধ ছিল।

 তবে বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজার সব সীমান্ত বন্ধ রেখেছে, ফলে খাদ্য, ওষুধ ও মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা ও স্বতন্ত্র রিপোর্ট বলছে, এতে করে গাজার মানুষ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের দূত বলেন, “গাজায় বোমার কোনও ঘাটতি নেই। কিন্তু খাদ্য, পানি, ওষুধ—সব কিছুর সংকট তৈরি করা হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে। যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হচ্ছে।”

এর আগে গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল আবার গাজায় আক্রমণ শুরু করে। আর এই হামলা চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে দেয়। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫২ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ