সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৩ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ওমরায় গেলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ইসলামী আন্দোলন ক্ষমতায় গেলে এক টাকাও লুটপাট হবে না: শায়খে চরমোনাই কোরআন অবমাননার দায় স্বীকার সেই অপূর্ব পালের জামায়াত-ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা দলগুলোর কর্মসূচি ঘোষণা তুরস্কে স্কলারশিপ পেলেন ৫ শিক্ষার্থী, এমবিএম ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনা পাকিস্তানের শীর্ষ আলেম মাওলানা ফজলুর রহমান সিলেটে আসছেন ১৭ নভেম্বর জামায়াতের নির্বাচনি সভা ভণ্ডুল করে দিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা মিথ্যা মামলায় দুই মাদরাসা শিক্ষককে হয়রানি, মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন চাঁদা না পেয়ে মসজিদের ইমামকে মারধর, স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনরত দলসমূহের যৌথ সংবাদ সম্মেলন

হিজবুল্লাহর প্রধান কে এই হাসান নাসরুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
হাসান নাসরুল্লাহ

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর দীর্ঘদিনের শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে বিমান হামলায় হত্যা করার দাবি করেছে ইসরায়েলিএদিকে  আনুষ্ঠানিকভাবে নাসরুল্লাহর মৃত্যু নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহ।

হাসান নাসরুল্লাহর উত্থান

হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর বর্তমান বয়স ৬৪ বছর। তার জন্ম ১৯৬০ সালে। তিনি বৈরুতের পূর্বাঞ্চলীয় উপকণ্ঠের বুর্জ হামুদ এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। তার বাবা আবদুল করিম ছিলেন সবজি বিক্রেতা। ৯ সন্তানের মধ্যে নাসরুল্লাহ ছিলেন সবার বড়।

১৯৭৫ সালে লেবানন গৃহযুদ্ধের মুখে পড়ে। হাসান নাসরুল্লাহ যোগ দেন শিয়া মুভমেন্ট ‘আমাল’-এ। এরপর কিছুকাল ইরাকের নাজাফে শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাটান তিনি। ১৯৮২ সালে আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আমাল থেকে বেরিয়ে যান নাসরুল্লাহ।

আমাল থেকে দলছুট হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ইসলামিক আমাল’। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সহায়তায় সামরিক ও সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হয় দলটি। একপর্যায়ে এই দলটিই আত্মপ্রকাশ করে সশস্ত্র হিজবুল্লাহ হিসেবে।

১৯৮৫ সালে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশে হিজবুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নকে ‘ইসলামের প্রধান দুই শত্রু’ হিসেবে আখ্যা দেয়। সেই সঙ্গে ইসরায়েলকে ধ্বংস করার ডাকও আসে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে।

নাসরুল্লাহ ধীরে ধীরে হিজবুল্লাহর যোদ্ধা থেকে বালবেক এলাকার পরিচালক হন। পরে পুরো বেকা ভ্যালির দায়িত্ব পান তিনি। এরপর সংগঠনের বৈরুত শাখার দায়িত্ব নেন।

যেভাবে হিজবুল্লাহ প্রধান হলেন নাসরুল্লাহ

১৯৯২ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে হিজবুল্লাহর প্রধান হন নাসরুল্লাহ। এর আগে ইসরায়েলের এক হেলিকপ্টার হামলায় নিহত হন তাঁর পূর্বসূরি আব্বাস আল–মুসাবি।

নাসরুল্লাহ লেবাননের দক্ষিণে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গেও তার যোদ্ধাদের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন। একপর্যায়ে ২০০০ সালে সেখান থেকে পিছু হটে দেশে ফিরে যান ইসরায়েলি সেনারা। তবে নাসরুল্লাহর ব্যক্তিগত ক্ষতিও কম হয়নি। ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ দিতে হয় তার বড় ছেলে হাদিকে।

২০০৬ সাল পর্যন্ত ইসরায়েল-হিজবুল্লাহর মধ্যকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোটামুটি শান্ত ছিল। তবে ওই বছর হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইসরায়েল সীমান্তে হামলা চালালে আট সেনা নিহত ও দুজন অপহৃত হন। পরে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল ও বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে যুদ্ধবিমান থেকে ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহও ইসরায়েলের অভ্যন্তরে প্রায় চার হাজার রকেট ছুড়ে জবাব দেয়।

৩৪ দিন ধরে চলা ওই লড়াইয়ে অন্তত ১ হাজার ১২৫ লেবাননি নিহত হন, যাদের বেশির ভাগ ছিলেন বেসামরিক লোক। নিহত হন ১১৯ ইসরায়েলি সেনা ও ইসরায়েলের ৪৫ বেসামরিক নাগরিকও। লড়াই চলাকালে ইসরায়েল নাসরুল্লাহর বাড়ি ও অফিসে যুদ্ধবিমান থেকে গোলাবর্ষণ করে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ