মো. সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক স্থানে দু,দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছে।
উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে গতকালের ঘটনার পর দ্বিতীয় দিনে আবারও দুই দল গ্রামবাসী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
সোমবার (৩ নভেম্বর) ওই গ্রামে সায়মন মাতুব্বরের দলের মিন্টুকে মারধর করলে দু'দল গ্রামবাসীর ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আজ সকালে কমপক্ষে ১৫ জন সহ অন্তত ৬০ জন গ্রামবাসী আহত হয়। প্রায় ২০টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দু'পক্ষের সংঘর্ষের জেরে ধরে আজ সকালে মিন্টু নামের একটি ছেলেকে মারধর করে কুদ্দুস মাতুব্বর দলের লোকজন। এরপর পরই দুই পক্ষের লোকজন ফের দেশীয় অস্ত্র ঢাল শরকি, কালি, কাতরা, টেটা ও সড়কের ইট ভেঙে ২ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে বেশকিছু বাড়িঘর ভাংচুর, লুঠপাট চালানো হয়। আহতরা ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।
গতকাল রোববার বিকেলে ওই গ্রামে একটি জমি মাপ নিয়ে শালিস বৈঠকে বসা নিয়ে দু'দল গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিকেল তিনটা থেকে শুরু হয়ে সংঘর্ষ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলতে থাকে। এতে অর্ধশতাধিক আহত হয়।
এদিকে আজ সকালে উপজেলার পৌরসদরের বাস্তখোলা সদরদী গ্রামে জমিজমার দ্বন্দ্বে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ হোসেন জানান, গতকালের সুত্র ধরে আজ ফের সংঘর্ষে দুই দল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বেশ কিছু বাড়ি ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এলএইস/