রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫ ।। ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
জমিয়ত আজ যা বলে কালও তাই বলে: মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বিএনপিও আ.লীগের মতো হত্যার রাজত্ব কায়েম করেছে: নুর বিএনপিকে ‘চাঁদাবাজি ও খুনাখুনির’ রাজনীতি বন্ধ করতে বলল হেফাজত পাথর মেরে হত্যার নিন্দা ও পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান জমিয়তের ইয়ামিনকে গুলি করা সেই পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার ‘চাঁদাবাজিতে আতঙ্কগ্রস্ত জাতি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমূল সংস্কার প্রয়োজন’ মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ড আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে: শায়খে চরমোনাই গাজায় ইসরায়েলি ব্যর্থতা ও প্রতিরোধ আন্দোলনের কৌশলগত উত্থান জুলাই যোদ্ধাদের ‘জাতীয় বীর’ উপাধি দিতে হবে: মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ‘নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজ ও খুনিদের ঠাঁই হবে না’

ইমামের রাজকীয় বিদায়, নিজেও কাঁদলেন গ্রামবাসীদেরও কাঁদালেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দীর্ঘ ৪১ বছরের কর্মময় জীবন শেষে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে মসজিদের ইমামকে বিদায় জানালেন গ্রামবাসী।

দীর্ঘ ৪১ বছরের কর্মময় জীবন শেষে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে মসজিদের ইমামকে বিদায় জানালেন গ্রামবাসী। হাতে তুলে দিলেন নগদ পৌনে এক লাখ টাকা এবং উপহার সামগ্রী।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে ব্যতিক্রমী ঘটনাটি ঘটেছে বাগাতিপাড়ার ক্ষিদ্রমালঞ্চি গ্রামে। বিদায়ী ইমাম মো. মুনসুর আলী পার্শ্ববর্তী শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

স্থানীয়রা জানান, ক্ষিদ্রমালঞ্চি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মো. মুনসুর আলী ১৯৮৩ সালে ইমামের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। একই মসজিদে দীর্ঘ ৪১ বছর দায়িত্ব পালনের পর বয়সজনিত কারণে তিনি অবসর নেন। প্রিয় ইমামকে বিদায় জানাতে গ্রামবাসী ওই মসজিদে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। 

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদ কমিটির সভাপতি আরশেদ আলীর সভাপতিত্বে ও আব্দুল হালিমের পরিচালনায় ইমাম মুনসুর আলীর কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য দেন মসলেম উদ্দিন, আলাউদ্দিন, আসমত আলী, সেলিম রেজা, আব্দুল আজিজ, সাইদুর রহমান প্রমুখ। 

শেষে ওই মসজিদসহ আশপাশের পাঁচটি মসজিদের মুসল্লিরা ইমামকে পৌনে এক লাখ টাকা ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। 

এছাড়া ইমামের বিদায় উপলক্ষে মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। শেষে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে পুরো এলাকা ঘুরিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় ইমাম মুনসুর আলীকে।  বক্তব্য প্রদানকালে সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। 

এসময় গ্রামের নারী-পুরুষরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বিদায় জানান প্রিয় ইমামকে। ব্যক্তিগত জীবনে মুনসুর আলী তিন মেয়ে ও দুই ছেলের বাবা। 

বিদায়ী ইমাম মো. মুনসুর আলী বলেন, জীবনের শুরুতে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মুহুরীর কাজ করেছিলাম। কিন্তু দুতিন দিন পর ভালো না লাগায় সে কাজ ছেড়ে এসে এ মসজিদে ইমামতি শুরু করি। 

দীর্ঘদিন পর অবসর নেওয়ায় গ্রামবাসীর এমন বিদায়ে তিনি মুগ্ধ।  এ সময় চোখে ছিল পানি, তবুও স্নিগ্ধ হাসি দিয়ে গ্রামবাসীর কাছে বিদায় নেন। 

বিদায় বেলায় তিনি কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন গড়া এবং ঈমান ও আমলের ওপর সবাইকে জীবন পরিচালিত করার আহ্বান জানান ।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ