শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৯ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফরিদপুরে বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিলের দাবি কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায় যে ফলগুলো খেলাফত আন্দোলনের সাথে সমমনা ইসলামি দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত কুরআনের মহব্বত থেকেই আমার রাজনীতিতে আসা: শায়খ নেছার আহমদ জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: আখতার হোসেন ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ নাশরুস সীরাহ’র সীরাত প্রতিযোগিতা, চলছে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়: তীব্র নিন্দা ধর্মীয় নেতাদের মহাসমাবেশে আসার পথে আহত কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে শায়খে চরমোনাই 

তাবেলা সিজার হত্যা : তিনজনের যাবজ্জীবন, চারজন খালাস


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

২০১৫ সালে রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম, তার ভাই আবদুল মতিন, শাখাওয়াত হোসেন ওরফে শরিফ ও মো. সোহেল ওরফে ভাঙারী সোহেলকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে তামজিদ, রাসেল, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন নেদারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডি’র কর্মকর্তা তাবেলা সিজার। ঘটনার দিনই গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন আইসিসিও’র কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ হেলেন ভেন ডার বিক।

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২২ জুন ডিবি পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে একই বছরের ২৫ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, শ্বেতাঙ্গ নাগরিককে হত্যার মাধ্যমে দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শাখাওয়াতের মোটরসাইকেলে মিনহাজুল, তামজিদ ও রাসেল গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে যান এবং গভীর রাতে নির্জন স্থানে তাবেলাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

মামলার বিচার চলাকালে ৭০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর বহুল আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়ার রায় ঘোষণা হলো।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ