শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন রক্ষায় পিআরই একমাত্র সমাধান: পীর সাহেব চরমোনাই মিটফোর্ডে পাথর মেরে বর্বরোচিত হত্যার প্রতিবাদে চান্দিনায় বিক্ষোভ  ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত ১৭ ফিলিস্তিনি খানকায়ে আহমদিয়ার ২৭তম আধ্যাত্মিক কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে দুই এজাহারনামীয় আসামি গ্রেপ্তার: জানাল র‍্যাব তীব্র গরমে হাতে তৈরি এয়ার কুলারই ভরসা আফগান ট্যাক্সিচালকদের ‘নতুন করে কাউকে ফ্যাসিবাদী হতে দেবো না’ — রিফাত রশিদ প্রশাসনিক ব্যর্থতায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি : যুবদল সভাপতি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যুব আলেম ও ওলামাদের আত্মত্যাগকে মূল্যায়ন করতে হবে আপনাদেরকে মানুষ পালানোর সুযোগও দেবে না, বিএনপিকে বৈষম্যবিরোধীর নেতা

মাদরাসা সিলেবাসে রাষ্ট্রবিজ্ঞান কেন জরুরি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মুহাম্মাদ হুজাইফা ||

দেশের কওমি মাদরাসাগুলোতে শতাব্দীকাল ধরে দরসে নেজামি অনুযায়ী শিক্ষাদান চলছে। এই সিলেবাসে পড়াশোনা করে একজন শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করতে পারে। ধর্মীয় শিক্ষকের মর্যাদা অর্জন করতে পারে। কিন্তু এই আধুনিককালে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়, মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় জ্ঞানে পারদর্শী হলেও জেনারেল শিক্ষা কিংবা রাষ্ট্রীয় জ্ঞানে বেশ অজ্ঞ। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে যে, মাদরাসা সিলেবাসের রাষ্ট্রবিজ্ঞান কতটা জরুরি?

বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছি দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট আলেম ও শিক্ষাবিদের সঙ্গে। তারা মাদরাসা সিলেবাসে আদৌ রাষ্ট্রবিজ্ঞান থাকা উচিত কি না, থাকলে কতটুকু, এর পাশাপাশি সিলেবাসকে আধুনিক করতে হলে আরও কী কী বিষয় থাকা উচিত এসব বিষয়ে মত দিয়েছেন। 

মারকাযুল লুগাতিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার শায়েখ মহিউদ্দিন ফারুকী আওয়ার ইসলামকে বলেন, মাদরাসা শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি মানুষই রাষ্ট্রের একজন সক্রিয় সদস্য। আর একজন সদস্য হিসেবে রাষ্ট্র সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি রাষ্ট্রের উন্নতি, অগ্রগতি ও পরিচালনায় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ যেন দায়িত্বপূর্ণ ও সচেতন হয়, সে জন্য তাদের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মৌলিক জ্ঞান থাকা একান্ত প্রয়োজন।

সিলেবাসে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মৌলিক পাঠ দিতে হবে। কেউ যদি প্রয়োজনে আরও গভীরভাবে বিষয়টি জানতে চায়, তবে দাওরার পরে তাখাসসুস (বিশেষায়ন) পর্যায়ে অধ্যয়নের সুযোগ রাখা যেতে পারে।

এই শিক্ষাবিদ বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি রাষ্ট্রীয় কার্যবিধির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত বিষয়। তাই একে গুরুত্বের সঙ্গে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

ইসলামিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রতিটি ছাত্রকেই ইসলামি রাষ্ট্র কাঠামো ও পরিচালনা সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। যখন তারা মৌলিক পাঠ উত্তীর্ণ হবে তখন তুলনামূলক আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। এতে করে শিক্ষার্থীরা চাকচিক্যময় আধুনিক রাষ্ট্র কাঠামোর বিপরীতে ইসলামি রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয়তা, উপকারিতা স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারবে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ইতিহাসের গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জন্য ইতিহাস অধ্যয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখান থেকে সোনালি যুগের রাষ্ট্র পরিচালনার ধারণা পাওয়া যাবে। তাই মাদরাসার সিলেবাসে ইতিহাস থাকলেও সেটিকে সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী আরও ঢেলে সাজানো দরকার। যেন শিক্ষার্থীরা একে কেবল ইতিহাস হিসেবে নয়, বরং জীবন ও রাষ্ট্র গঠনের বাস্তব পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করতে পারে।

তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদরাসার সিয়াসত বিভাগের প্রধান মাওলানা শহিদুল ইসলাম আওয়ার ইসলামকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ফকিহরা নেতৃত্বকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন— ছোট নেতৃত্ব ও বড় নেতৃত্ব। রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বকে বড় নেতৃত্ব বলা হয়েছে। আমরা ইমামতির জন্য শিক্ষার্থী প্রস্তুত করি, কিন্তু সমাজের নেতৃত্বের জন্য কতটা প্রস্তুত করছি?

এই শিক্ষাবিদ বলেন, উম্মাহর নেতৃত্বের জন্য আগে এই বিষয়ের জ্ঞানার্জন জরুরি। সহিহ বুখারিতে হজরত উমর রাজিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর একটি উক্তি বর্ণিত হয়েছে, যেখানে তিনি নেতৃত্ব গ্রহণের আগে এ বিষয়ে জ্ঞানার্জনের জন্য গুরুত্বারোপ করেছেন। অবশ্য ইমাম বুখারি রহ. সেখানে অতিরিক্ত যুক্ত করেছেন নেতৃত্ব হাসিলের পরেও জ্ঞানার্জন করতে হবে। কাজেই তরুণ প্রজন্মের মাঝে উম্মাহর নেতৃত্ব সৃষ্টির প্রেরণা এবং যোগ্য নেতৃত্বের জন্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ার কোনো বিকল্প নেই।

মাওলানা শহিদুল ইসলাম রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো-

১. নববী রাষ্ট্র কাঠামো এবং খেলাফতে রাশেদার মতো ইসলামি শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে জানা।
২. সচেতন নাগরিক হওয়ার জন্য ইলমে সিয়াসাত জরুরি।
৩. সিয়াসাতের আধুনিক জটিল প্রশ্নগুলোর সমাধান: বর্তমান সময়ে আধুনিক আবিস্কারের সুবাদে ফিকহের অন্যান্য শাখায় যেমন নতুন নতুন প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে ঠিক তেমনি বিভিন্ন মতাদর্শের কারণে সিয়াসাতের ময়দানে ও বিভিন্ন প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। কিছু কিছু প্রশ্ন আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অত্যন্ত গুরুতর; ঈমান থাকা না থাকার সঙ্গে যুক্ত। কিছু কিছু বিষয় আছে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার ওপর নির্ভর করে। যেমন তাগুতি শাসনব্যবস্থা বলে একটা কথা আছে। এই ব্যবস্থাকে উৎখাতের জন্য কখন সশস্ত্র লড়াই করা যাবে প্রভৃতি বিষয়। এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে সিয়াসাতের ওপর পড়াশোনা দরকার।
৪. ভূরাজনীতি, বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রনীতি, পরাশক্তিগুলোর প্রভাব বিশ্লেষণ করতে হলে আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান জানা অত্যাবশ্যক।

মাদরাসা সিলেবাসে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে তিনি বলেন, দরসে নেজামিতে রাষ্ট্রনীতি ও শাসনের বহু উপাদান ইতোমধ্যে রয়েছে। সেগুলো অধ্যাপনায় যত্নবান হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে আগ্রহ জন্মাবে। বিভিন্ন সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন গ্ৰন্থের সিয়ার, হুদুদ অধ্যায় এবং সিরাত ও আকিদার কিতাবে এসবের ভিত্তি বিদ্যমান। এছাড়াও আরবের উলামায়ে কেরামের রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে প্রচুর গবেষণা কর্ম রয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইসলামি রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ওপর আলাদা বিভাগ রয়েছে। তাই সেসব রচনা ও প্রতিষ্ঠানকে অনুসরণ করে আমাদের দেশেও তা পড়ানো যেতে পারে। 

মাওলানা শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, হাদিসের বিভিন্ন সংকলনের মতো সিয়াসাত, ইমামত, ইনসাফ ইত্যাদি বিষয়েও হাদিস সংগ্রহ ও পাঠের ধারা গড়ে তোলা জরুরি। এতে যুব সমাজের মধ্যে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ববোধ জাগ্রত হবে।

সবশেষ তিনি বলেন, বর্তমান সমাজব্যবস্থা যেহেতু পাশ্চাত্য নির্ভর, তাই আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান না পড়ালে অনেক বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এজন্য হেদায়া লেভেলের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্বাচিত অধ্যায়গুলো পাঠ করানো উচিত, যাতে সুস্পষ্ট ধারণা তৈরি হয় এবং তুলনামূলক বিশ্লেষণের সুযোগ থাকে।

আল–আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব অনুষদের (২য় বর্ষ) শিক্ষার্থী মাওলানা দেলাওয়ার আদনান আওয়ার ইসলামকে বলেন, একজন ব্যক্তির ইতিহাস কেবল তার ভাষা, সংস্কৃতি ও ব্যক্তিগত ধর্মীয় জীবনেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং তার চিন্তাশক্তি, নেতৃত্ব ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় অংশগ্রহণের মধ্যেও তা নিহিত থাকে। মুসলমানদের ইতিহাসও তাই বলে—যেখানে জ্ঞান, আখলাক, নৈতিকতা ও রাষ্ট্রচিন্তার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছিল শক্তিশালী নেতৃত্ব।

এই শিক্ষার্থী বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান শুধু রাষ্ট্রের কাঠামো বা নির্বাচন শেখায় না। এটি একজন মানুষের অধিকার, শাসনব্যবস্থা, আইন ও ক্ষমতার কাঠামো বিশ্লেষণের সুযোগ দেয়। রাষ্ট্র কীভাবে চলে এবং নাগরিকরা কীভাবে রাষ্ট্রকে প্রভাবিত করতে পারে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান তা শেখায়। আজ যখন রাষ্ট্রশক্তি সারা বিশ্বের মুসলিমদের ভাগ্য নির্ধারণ করছে, তখন রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞতা এক ধরনের আত্মবিচ্ছিন্নতা ও বৈরাগ্য।

তরুণ এই গবেষক বলেন, ইসলামে রাষ্ট্রচিন্তার একটি পূর্ণ কাঠামো রয়েছে—যেমন খেলাফত, বায়আত, মজলিসে শূরা, জাকাত, ইজমা, কিয়াস, দণ্ডবিধি, বিচারব্যবস্থা ইত্যাদি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু আধ্যাত্মিক নেতা নন; তিনি ছিলেন একজন রাষ্ট্রপ্রধান, বিচারক ও সেনাপতিও। তাঁর খলিফারাও একইভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন।

দেলাওয়ার আদনান বলেন, বর্তমান সময়ে দেখা যায়, আলেমরা যখন ফিলিস্তিন, কাশ্মীর বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে কথা বলেন, তখন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গুরুত্ব স্পষ্ট হয়। কিন্তু আজ সমাজে ‘আলেম’ বলতে শুধুই খতিব বা বক্তাকে বোঝানো হয়, অথচ একজন আলেম রাষ্ট্রচিন্তকও হতে পারেন। তাই মাদরাসার সিলেবাসে রাষ্ট্রবিজ্ঞান যুক্ত করা হলে এই শূন্যতা দূর হবে।

তিনি বলেন, যদি একজন শরিয়তের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে দক্ষ হন, তাহলে তিনি সমাজ, আইন ও রাষ্ট্রনীতি বুঝে ফতোয়া দিতে পারবেন। একজন মাদরাসা শিক্ষার্থীকে নৈতিকভাবে গড়ে তোলা হয় ঠিকই, কিন্তু সেই নৈতিকতা যদি রাষ্ট্রীয় বাস্তবতায় প্রয়োগ না হয়, তাহলে তা সমাজ বদলের শক্তিতে রূপান্তরিত হয় না।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব তুলে ধরে মাওলানা দেলাওয়ার আদনান বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বুঝতে হলে ইতিহাস জানা জরুরি। ইতিহাসের আলোকে রাষ্ট্র কাঠামো ও রাজনীতির বিশ্লেষণ সম্ভব হয়। নইলে বিশ্লেষণ হবে একতরফা ও দুর্বল। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সঠিক অবস্থান নিতে হলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞান অপরিহার্য। একজন নেতা হতে চাইলে তাকে জানতে হবে আইন কীভাবে তৈরি হয়, নাগরিক অধিকার কী, রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালিত হয়।

আদনান বলেন, একজন আলেম যদি উম্মাহর নেতৃত্ব দিতে চান, তাহলে তাকে বিশ্ব রাজনীতি, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয় বুঝতে হবে। বর্তমান বাস্তবতায় সংবিধান, ভোট, আইন প্রণয়ন, জনমত, গণতন্ত্র—এসব বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরি। যদি একজন আলেম রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়েন, তবে এসব ক্ষেত্রে তার শক্তিশালী উপস্থিতি থাকবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে—ক্ষমতা কীভাবে অর্জন ও সংরক্ষণ করা যায় এবং বাস্তব জীবন ও পরিবেশকে কীভাবে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। শরিয়তের উদ্দেশ্যগুলো—যেমন দীন রক্ষা, জান-মাল-ইজ্জতের হেফাজত, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা—এসব কিছুই রাষ্ট্র কাঠামোর সাথে সম্পর্কিত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞান ছাড়া এগুলো বাস্তবায়ন অসম্ভব।

সবশেষে মাওলানা আদনান বলেন, ইসলামিক ও আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান উভয়ই একসঙ্গে পড়ানো উচিত। কেবল ইসলামিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান দিয়ে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বোঝা যাবে না, আবার আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান দিয়েও ইসলামের রাষ্ট্রচিন্তা অনুধাবন করা যাবে না। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সূচনা যিনি করেছেন সেই নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি—তিনি ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন, যেখানে শাসনের জন্য নৈতিকতার প্রয়োজন নেই। অথচ ইসলামের মূলনীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই রাষ্ট্রবিজ্ঞানে একতরফা পড়াশোনা শূন্যতা তৈরি করে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ