সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫ ।। ৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২৭ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
এরপরও আজকের পৃথিবীকে বলতে হবে সভ্য, শান্তিকামী! ভুল চিকিৎসায় শিশুপুত্রের মৃত্যুর করুণ বর্ণনা দিলেন শিল্পী বদরুজ্জামান ইরানে মার্কিন আগ্রাসনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাল জমিয়ত জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন না হলে দেশজুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি! ‘প্রধানমন্ত্রী একক ক্ষমতার অধিকারী হলে সরকার ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে’ ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, জরুরি বৈঠক ডেকেছে আইএইএ জাতীয় সরকার গঠন হবে এনসিপির নেতৃত্বে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাওলানা মুহসিনুল হাসানের গণসংযোগ, ইনসাফভিত্তিক সমাজ গড়ার আহ্বান ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, জাতিসংঘ মহাসচিবের গভীর উদ্বেগ জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক

গোপালগঞ্জে ‘অবলম্বন’ ফ্যাক্টরিতে চাকরি পেলেন ৪৩ ভিক্ষুক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ‘অবলম্বন’ ফ্যাক্টরিতে চাকরি পেয়েছেন ৪৩ ভিক্ষুক। শনিবার (০১ মে) জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহিদা সুলতানা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৪৩ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। এর আগে তিনি ফিতা কেটে ‘অবলম্বন’ নামে এ ফ্যাক্টরির উদ্বোধন করেন। তারা উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী গ্রামে নির্মিত প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে কাজ করবেন।

জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাস থেকে কোটালীপাড়া উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও সরকারি অর্থায়নে এ প্যাকেজিং ফ্যাক্টরির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে এ ফ্যাক্টরির নির্মাণকাজ শেষ হয়। এ ৪৩ জন ভিক্ষুক এখন থেকে এই ফ্যাক্টরিতে কাজ করবেন।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম মাহফুজুর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মহসীন উদ্দিন, পৌর মেয়র হাজী মো. কামাল হোসেন শেখ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, কুশলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রাকিবুল হাসান শুভ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শ্রীময়ী বাগচী উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ভিক্ষা নয়, কর্মময় হবে ৪৩ জন ভিক্ষুকের জীবন। এরা এখন কাজ করে সংসার চালাতে পারবে। এ ধরনের উদ্যোগ দেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।

কুশলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বাদল বলেন, কুশলা ইউনিয়নের চৌরখুলী গ্রামের ৪৩ নারী-পুরুষ জন্ম-জন্মান্তরে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এ পেশা থেকে উত্তরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু কখনোই তাদের এ পেশা থেকে নিবৃত করা যায়নি। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি অর্থায়নে ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে চৌরখুলী গ্রামে এ প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি নির্মাণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে এলাকাবাসী স্বাগত জানিয়েছে। এলাকার ভিক্ষুকরা এখন ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে প্যাকেজিং ফ্যাক্টরিতে চাকরি করবেন।

চৌরখুলী গ্রামের ভিক্ষুক সোনামতি বেগম, রেখা বেগম, ডালিম বেগম বলেন, আমরা আর ভিক্ষা করতে চাই না। আমরা কাজ করে খেতে চাই। ভিক্ষায় কোনো সম্মান নেই। এতদিন কোনো কাজ পাইনি তাই ভিক্ষা করছি। এখন উপজেলা প্রশাসন ফ্যাক্টরি নির্মাণ করে আমাদের চাকরি দিয়েছে। আমরা এখন চাকরি করে সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারব।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ