আওয়ার ইসলাম: আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মিয়ানমারের সহস্রাধিক নাগরিককে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় আটক মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত না পাঠাতে আদালতের নির্দেশ ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর পাঠানো তিনটি জাহাজে করে ১ হাজার ৮৬ জন নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার মানবাধিকার গোষ্ঠীর একজন আইনজীবীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কুয়ালালামপুরের উচ্চ আদালত মিয়ানমারের ওই নাগরিকদের ফেরত পাঠানো বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত স্থগিত করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ অমান্য করেই তাদের ফেরত পাঠানো হলো। মানবাধিকার গোষ্ঠী কুয়ালালামপুরের এই সিদ্ধান্ত নির্বাসিত ব্যক্তিদের জীবন বিপন্ন করবে বলে মন্তব্য করেছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আটক করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। দেশটির জনগণ ২ ফেব্রুয়ারি থেকে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মালয়েশিয়া মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গা এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তালিকাভুক্ত নাগরিকদের প্রত্যর্পণ না করার অঙ্গীকার করেছে। তবে ইউএনএইচসিআর বলছে, মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার ফেরত পাঠানোদের মধ্যে ছয়জন তাদের তালিকাভুক্ত শরণার্থী রয়েছে।
শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থাটি আরও বলছে, কুয়ালালামপুরের ফেরত পাঠানো নাগরিকদের মধ্যে সংঘাত ও নিপীড়নের ভয়ে পালানো চীন, কাচিন এবং নন-রোহিঙ্গা মুসলিমরাও রয়েছে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের পরিচালক খাইরুল যাইমি দাউদ এক বিবৃতিতে জানান, প্রত্যর্পিত মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং কোনো সাহায্যপ্রার্থী নেই। তিনি বলেন, যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তারা স্বেচ্ছায় যেতে সম্মত হয়েছে, তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি। আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও কিভাবে ফেরত পাঠানো হলো এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো জবাব দেননি।
-এটি