বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ১২ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মৃত ব্যবসায়ীর কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইল জাপানি পুলিশ ও কৌঁসুলিরা গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা দিতে চাওয়ায় ৫ ডাক্তারকে বদলি করা হয়েছিল  গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ কোনো অদৃশ্য শক্তি সরকারকে প্রভাবিত করছে : পীর সাহেব চরমোনাই গুলশানে কবি আল মাহমুদ পাঠাগার উদ্বোধন চাঁদাবাজি নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের প্রধান বাধা: ইসলামী আন্দোলন ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণার প্রথম দিনেই হিজাব পরিহিত নারী প্রার্থীদের প্রতি আক্রোশ বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত বিএনপির শোকজের দীর্ঘ জবাব দিলেন ফজলুর রহমান জুলাই শহীদ পরিবারে সরকারি অনুদান বণ্টনে নতুন বিধিমালা জারি

জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের ফিরিয়ে আনতে কাউন্সেলিংয়ের উদ্যোগ পুলিশের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সহিংস কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ও বিভিন্ন ঘটনায় আটক এবং সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি সন্ত্রাসীদের কাউন্সেলিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।

কাউন্সেলিং ও সাজাভোগ শেষে তাদের পুনর্বাসনেরও উদ্যোগ রয়েছে পুলিশের। কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাদের মানসিকতার পরিবর্তন করে চরমপন্থা থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং তাদের পুনর্বাসন করতে হবে। না হয় তারা আবারও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

যে কারণে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনের কাজ ত্বরান্বিত করতে একটি ‘প্রতিরোধ কেন্দ্র’ স্থাপন করে সেখানে জঙ্গিদের মানসিকতা পরিবর্তনে কাজ করবে তারা।

জঙ্গি দমনে নিয়োজিত পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় জঙ্গিদের কাউন্সেলিং করলে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে কার্যকর ফলাফল আসতে পারে। তাছাড়া, সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গিদের সাজা ভোগের পর উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনারও প্রয়োজন রয়েছে।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় জঙ্গিদের ডি-র‌্যাডিকালাইজেশনের (চরমপন্থা থেকে ফিরিয়ে আনা) কার্যক্রমের মধ্যে সামাজিকভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম অন্যতম। প্রতিরোধ কেন্দ্রের জন্য রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ১৩ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। যেখান থেকে এসব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

পুলিশের উদ্যোগে কাউন্সেলিং ও পুনর্বাসন জঙ্গি দমনে কোনও ধরনের সুফল পাওয়া যাবে কিনা জানতে চাইলে রিজিওনাল অ্যান্টি টেররিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, কাউন্সেলিং বা মোটিভেশনতো জাতিগতভাবেই দরকার। সকল মানুষের জন্য দরকার।

বিশেষজ্ঞরা পুলিশের এ উদ্যোগকে মানবিক ও সময়োপযোগী বলে মনে করছেন। নানা কারণে জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়া তরুণ ও নারীদের জন্য এটি একটি অভিনব উদ্যোগ হিসেবেও দেখছেন তারা।

মনোনয়ন ফরম কিনলেন খেলাফত মজলিসের ১৫ প্রার্থী

এসএস


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ