বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ১১ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মৃত ব্যবসায়ীর কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইল জাপানি পুলিশ ও কৌঁসুলিরা গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা দিতে চাওয়ায় ৫ ডাক্তারকে বদলি করা হয়েছিল  গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ কোনো অদৃশ্য শক্তি সরকারকে প্রভাবিত করছে : পীর সাহেব চরমোনাই গুলশানে কবি আল মাহমুদ পাঠাগার উদ্বোধন চাঁদাবাজি নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের প্রধান বাধা: ইসলামী আন্দোলন ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণার প্রথম দিনেই হিজাব পরিহিত নারী প্রার্থীদের প্রতি আক্রোশ বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত বিএনপির শোকজের দীর্ঘ জবাব দিলেন ফজলুর রহমান জুলাই শহীদ পরিবারে সরকারি অনুদান বণ্টনে নতুন বিধিমালা জারি

গুলশানে কবি আল মাহমুদ পাঠাগার উদ্বোধন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান কবি মীর আব্দুস শুকুর আল মাহমুদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্মিত “কবি আল মাহমুদ পাঠাগার” উদ্বোধন করেছেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

আজ মঙ্গলবার গুলশানের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ পার্কে নব নির্মিত এ পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, কবিকন্যা মীর আতিয়া, কবিপুত্র মীর মোহাম্মদ মনির ও লেখক-সাংবাদিক ও গবেষক আবিদ আজম।

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ঢাকায় জমির ব্যবহার নিয়ে বড় সংকট রয়েছে। ওপেন স্পেসকে কীভাবে বহুমুখী কাজে ব্যবহার করা যায় তা বিবেচনায় নিয়ে জনপরিসরে লাইব্রেরি স্থাপনের কাজ করছে ডিএনসিসি। 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের লাইব্রেরি শিশু-কিশোরদের পাঠাভ্যাস গড়ে তুলবে এবং সময়ের সাথে সাথে এসব লাইব্রেরি একেকটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিকশিত হবে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, “শুধু লাইব্রেরি তৈরি করলেই চলবে না, বরং  লাইব্রেরি পরিচালনার জন্য একটি টেকসই কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।” 

তিনি আরও বলেন, “আল মাহমুদ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের যাপিত জীবনকে অসাধারণভাবে কবিতায় প্রকাশ করেছেন।”

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “জীবনের প্রতিটি ছন্দে কীভাবে জীবনকে অনুভব করতে হয়, তা আমরা কবি আল মাহমুদের কাছ থেকেই শিখেছি। তিনি ছিলেন একাধারে একজন কবি ও দার্শনিক। 

কবিপুত্র মীর মোহাম্মদ মনির বলেন, “কবি আল মাহমুদকে নিয়ে ব্যবসায়িক স্বার্থসিদ্ধি বা রাজনৈতিক ট্যাগ দেওয়ার সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।” তিনি কবি পরিবারের পক্ষ থেকে নবনির্মিত পাঠাগারের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কবি আল মাহমুদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভান্ডারে অমূল্য সম্পদ। তাঁর সাহিত্যকীর্তিকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এ ধরনের উদ্যোগ বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ