শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১১ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের, ‘উসমান হাদির হত্যা মামলায় সরকারের ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয়’ আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুসলিম শিক্ষককে গুলি করে হত্যা ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন

মৃত ব্যবসায়ীর কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইল জাপানি পুলিশ ও কৌঁসুলিরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভুল অভিযোগে অভিযুক্ত করে দীর্ঘ সময় আটক রাখার ঘটনায় এক মৃত ব্যবসায়ীর কবরে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছে জাপানের পুলিশ ও কৌঁসুলিরা।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিজো আইসামা নামে ওই ব্যক্তি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। ২০২০ সালের মার্চে তাকে এবং তার প্রতিষ্ঠানের আরও তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়— অবৈধভাবে বিদেশে স্প্রে ড্রায়ার মেশিন রপ্তানি করার। এই মেশিন তরলকে গুঁড়োতে পরিণত করতে সক্ষম এবং সামরিক কাজে ব্যবহারযোগ্য।

তবে আইসামার কোম্পানি ওহকাওয়ারা কাকোহকি জানায়, তাদের পণ্য রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তা সত্ত্বেও আইসামাকে আটক রাখা হয়।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যনালীর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে কারাগারেই মারা যান তিনি। মৃত্যুর পাঁচ মাস পর তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা বাতিল করা হয়।

আইসামা কারাবন্দি অবস্থায় ক্যানসার চিকিৎসার জন্য আটবার জামিন আবেদন করেছিলেন, কিন্তু একবারও তা মঞ্জুর হয়নি। চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া এবং অন্যায় আটক রাখার দায় স্বীকার করে পুলিশ ও কৌঁসুলিরা সম্প্রতি তার কবরে গিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার তার স্ত্রী ও ছেলেরা কবরস্থানে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়। তবে মৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রী বলেন, “যারা বিনা অপরাধে তাকে বছরের পর বছর বন্দি রেখেছে, তাদের আমি ক্ষমা করতে পারি না।”

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আইসামার কোম্পানি টোকিও আদালতে ক্ষতিপূরণের মামলা করে। আদালত রায়ে জানায়, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ছিল অবৈধ। পাশাপাশি রাষ্ট্রকে কোম্পানিকে ১ দশমিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আইসামার পরিবার বলছে, তাকে বিনা দোষে আটক করার প্রকৃত কারণ এখনো অজানা, আর জড়িতদের যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত নগণ্য।

সূত্র: বিবিসি

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ