বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ১১ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মৃত ব্যবসায়ীর কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইল জাপানি পুলিশ ও কৌঁসুলিরা গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা দিতে চাওয়ায় ৫ ডাক্তারকে বদলি করা হয়েছিল  গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ কোনো অদৃশ্য শক্তি সরকারকে প্রভাবিত করছে : পীর সাহেব চরমোনাই গুলশানে কবি আল মাহমুদ পাঠাগার উদ্বোধন চাঁদাবাজি নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের প্রধান বাধা: ইসলামী আন্দোলন ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণার প্রথম দিনেই হিজাব পরিহিত নারী প্রার্থীদের প্রতি আক্রোশ বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত বিএনপির শোকজের দীর্ঘ জবাব দিলেন ফজলুর রহমান জুলাই শহীদ পরিবারে সরকারি অনুদান বণ্টনে নতুন বিধিমালা জারি

'সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের ঢল নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।

প্রাথমিক পর্যায়ে এটি সীমিত থাকবে। পর্যায়ক্রমে নিষিদ্ধ করা হবে। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হবে পর্যটকদের রাত্রিযাপন।

পাশাপাশি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে সেন্টমার্টিন দ্বীপে কিভাবে পর্যটকের ঢল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে রক্ষা করতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

শনিবার সকালে কক্সবাজারে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

শহরের হিল ডাউন সার্কিট হাউজে 'সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিরল জীববৈচিত্র্য এবং প্রতিবেশ সংরক্ষণ' শীর্ষক কর্মশালাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদফতর।

মন্ত্রী আনিসুল আরও বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে আর কোন নতুন স্থাপনার অনুমোদন দেয়া হবে না। বর্তমান সময়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন ব্যবসা রমরমা। কিন্তু এর সুফল পাচ্ছে না স্থানীয়রা।

এই দ্বীপের উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য, এবং দীর্ঘমেয়াদের তিন ধাপের পরিকল্পনা নেয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বার্থ রক্ষা করে দ্বীপকে পরিবেশবান্ধব পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করা হবে।

দেশের মহামূল্যবান এই দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে রাতে বাতি জ্বালানো নিষিদ্ধ করা। দ্বীপের সৈকতে মোটরসাইকেল, দুই চাকার অযান্ত্রিক সাইকেলের চলাচল নিষিদ্ধ করে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষ উল্লিখিত কারণে দ্বীপের কোন ধরনের ক্ষতি হচ্ছে তা প্রজেক্টরের সাহায্যে দেখানো হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ্ আল মোহসীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মুজাহিদ হোসেন ।

ড. নুরুল কাদির, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

আরো পড়ুন-
কওমি সনদের স্বীকৃতি: তসলিমারা কেন ভীত?
বিজেপি নেতার সঙ্গে তসলিমার অবৈধ সম্পর্ক ফাঁস, আছে সন্তানও
‘জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী কিন্তু হেফাজত স্বাধীনতা বিরোধী নয়’

এটি/আওয়ার ইসলাম


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ