শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ ।। ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৩ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে সকাল থেকেই জনতার ঢল কলকাতার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩ গাজায় আরও ৭২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু একদিনে ক্ষোভ ও গণপ্রতিরোধকে ‘মব’ বলা ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্র: হেফাজত খাবার গ্রহণের আগে দোয়া: অকল্যাণ দূর, বরকত বৃদ্ধি আজ সোহরাওয়ার্দীতে মহাসমাবেশ, ইতিহাস গড়তে চায় ইসলামী আন্দোলন ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদে নেত্রকোনায় খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ সমাবেশ আওয়ার ইসলাম: পাঠকের চিন্তা ও চর্চার নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের সমাবেশ থেকে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যের আহ্বান রাজধানীতে ১০ লাখ গাছ লাগাবে জামায়াত

বিয়ের জন্য হাসান বসরি রহ. কে যে ৪ শর্ত দিয়েছিলেন রাবেয়া বসরি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সায়াদাত সাদী
তরুণ আলেম

আকাশে লাখো কোটি তারা, মিটিমিটি উজালা, আমরা উৎসুক দৃষ্টিতে দেখি, আবার আনমনা হয়েও দেখি এবং গুণি। একতারা-দুতারা-তিনতারা, আমাদের ভালো লাগে, এক অজানা ভালোলাগা। মনে হয় হারিয়ে যাই দূর আকাশের ওই তারাদের মেলায়।

আমাদের এই আঁধার পৃথিবীতেও আছে অনেক তারা। আমরা যখন চোখ মেলি তাদের দিকে, দেখি ধ্রুবতারার মতো জ্বলজ্বল করে জ্বলছে একেকটি তারা। সবতারা একরকম উজালা নয়; কেউ কারো চেয়ে কম, আবার বেশিও।

তাই সময়ও তাদের সমানভাবে মনে রাখে না। সময় বড় নিষ্ঠুর, সে সবসময় বসে আছে তার পাতা থেকে একেকজনের নাম মুছে দিতে। কিন্তু, কিছু তারকা এমনও আছে, সময় যাদের ভোলে না, ভুলতে পারে না। এইসব তারকাদেরই একজন হযরত রাবেয়া বসরি রহ.

তিনি ছিলেন কালো হাবশি বাঁদি। অর্থ-সম্পদ বলতে কিছুই ছিলো না তাঁর, ছিলো না দৈহিক সৌন্দর্যও, কিন্তু, ছিলো শুধু আল্লাহর প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা, আর তাঁর বিধানাবলির প্রতি ছিলো নিবিড় সচেতনতা।

তাঁর চারিত্রিক এই বৈশিষ্ট্যটিই তাঁকে দাঁড় করিয়েছে নক্ষত্রের সারিতে, বরং প্রথম সারিতে। তিনি উদাহরণ হয়ে আছেন পৃথিবীর ইতিহাসে। পৃথিবীর ইতিহাস তাঁকে বুকে ধারণ করে গর্ব বোধ করে।

সেই মহিয়ষী নারীর খোদাভীতি ও পরলৌকিক ভাবনার একটি উদাহরণ নিচে তুলে ধরা হলো-

হযরত রাবেয়া রাতের বেলা গোসল করে পবিত্র কাপড় পরতেন, তারপর সুগন্ধি ব্যবহার করে স্বামীকে বলতেন, আমাকে কি কোনো প্রয়োজন আছে তোমার?

স্বামী না সূচক কিছু বলে দিলে, তিনি বলতেন, তাহলে আমাকে ছুটি দাও!

স্বামী বলতেন, ঠিক আছে, যাও। তিনি নামাজের পাটিতে গিয়ে দাঁড়াতেন, সারা রাত এভাবে ইবাদত করতেন, তারপর ফজরের নামাজ পড়ে নামাজের পাটি থেকে উঠতেন।

যৌবন থাকতে থাকতেই তার স্বামী দেহ ত্যাগ করেন। তখন ইমাম হাসান বসরি রহ. তাঁকে বিয়ের পয়গাম পাঠালে প্রতিউত্তরে তিনি যা বলেছিলেন, তা থেকেই অনুমান করা যায় কতটা খোদাভীতি তাঁর ভেতর ছিলো, আর পরকালের ভাবনা কতটাই বিচলিত করে রাখত তাঁকে!

তিনি তাঁকে বলেছিলেন, যদি চারটি প্রশ্নের উত্তর আমাকে দিতে পারেন, তাহলে আমি আপনাকে বিয়ে করতে প্রস্তুত আছি-

এক. আমি জান্নাতে যাব, না জাহান্নামে?

দুই. আমার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে নাকি বাম হাতে?

তিন. কর্মফল মাপার সময় আমার নেক আমলের পাল্লা ভারি হবে নাকি বদ আমলের পাল্লা?

চার. আমি কি পুলসিরাত পার হতে পারব নাকি পার হতে গিয়ে নিচে পড়ে যাব?

হযরত হাসান বসরি কোনো উত্তর দিতে পারলেন না, এসব প্রশ্নের উত্তর আমি কী করে দিতে পারি!

তখন রাবেয়া বসরি বললেন, তাহলে আমি দুঃখিত, আমাকে পরকালের প্রস্ততি নেওয়ার সুযোগ দিন।

বস্তুত, যে আল্লাহর হয়ে যায়, আল্লাহ তার সমস্ত প্রয়োজন পুরা করে দেন। হযরত রাবেয়া বসরির যখনই যা প্রয়োজন হত আল্লাহ তায়ালা অদৃশ্য থেকে তা পুরা করে দিতেন।

‘আল্লাহর রাস্তায় সময় দিয়েও পরিবারকে আগলে রাখতে হয়’


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ