শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আমার পিতা ছিলেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার অন্যতম পুরোধা: মাওলানা মাহমুদ মাদানী  খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন: গাড়ি পার্কিং ও জরুরি দিকনির্দেশনা বিদেশিদের দালাল আর পাশের দেশের প্রেসক্রিপশনে আর নয়: চরমোনাই পীর গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে জাতির সাথে তামাশার শামিল: অধ্যাপক মাওঃ ইমরান আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জমিয়তের পূর্ণ সংহতি ও সমর্থন কোন দলের আপত্তি কতটা বিবেচনায় নিলেন ড. ইউনূস গণভোটে আমরা রাজি, অপশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জনগণের খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলন সফল করার আহ্বান মুফতী আবদুল্লাহ ইয়াহ্ইয়ার ঢাকা-১৬ আসনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রার্থীর পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা নোয়াখালীতে মধ্যরাতে ফুটবল খেলা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ১৮

শেষ হলো আফতাবনগর মাদরাসার ৩ দিনব্যাপী ইসলাহি ইজতেমা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব
ইসলাহি ইজতেমা থেকে

আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ইদারাতুল উলুম ঢাকা আফতাবনগর মাদরাসা প্রাঙ্গনে আয়োজিত ৫তম ইসলাহি ইজতেমা আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল নয়টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো। মোনাজাত সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শেষ হয়।

সকালে হেদায়েতি বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন, ইসলাহি ইজতেমার সভাপতি, সায়্যিদ মাহমুদ আসআদ মাদানির খলিফা, মুফতি মুহাম্মদ আলী।

আবেগঘন এই মোনাজাতে ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে ইজতেমা প্রাঙ্গন। মোনাজাতে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, কল্যাণ ও হেদায়েত এবং আরাকানি ও ফিলিস্তিনি মুসলমানদের মুক্তি কামনা করা হয়।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সৃষ্টিকর্তার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় নত হয়ে আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিগণ মনের আকুতি ও অনুভূতি প্রকাশ করেন।

তিন দিনব্যাপী এ ইসলাহি ইজতেমা গত ২৮ ডিসেম্বর ভোররাতে প্রভুর নিকট কান্না ও প্রার্থনার মাধ্যমে শুরু হয়। অতঃপর ওইদিন ফজরের পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উম্মুল মাদারিস দারুল উলুম দেওবন্দ ভারতের সিনিয়র ওস্তাদ আল্লামা মুনীরুদ্দীন।

তার বক্তব্যের পরপরই ইসলাহি ইজতেমার মূল লক্ষ্য সাধারণ মানুষকে দীনের প্রাথমিক বিষয়াদি প্র্যাক্টিকেলভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়।

ইসলাহি ইজতেমার প্রথমদিন বিকেলে মুফতি মুহাম্মদ আলী-এর আহ্বানে “ফিদায়ে মিল্লাত সায়্যিদ আসআদ মাদানি রহ.-এর চিন্তাধার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে খলিফাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়”।

এতে ফিদায়ে মিল্লাতের খলিফা ও শুভাকাঙ্খিগণ সিদ্ধান্ত নেন “ফিদায়ে মিল্লাতের জীবন ও কর্ম শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজন করা হবে এবং তার পূর্ণাঙ্গ জীবনী নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হবে।” আর এ সেমিনার বাস্তবায়ন করার জন্য মুফতি রশীদ আহমাদ মকবুলকে প্রধান করে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

ইসলাহি এ ইজতেমা প্রত্যেকদিন ভোররাত থেকে কান্না ও প্রার্থনার মাধ্যমে শুরু হতো এবং রাত দশটার দিকে রাতের বিশ্রামের বিরতি দেওয়া হতো।

৩ দিনব্যাপী চলা এ অনুষ্ঠানে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রেখেছেন।

উল্লেখ্য, ইজতেমার পুরো অনুষ্ঠানটি “জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘আওয়ার ইসলাম টুয়েন্টিফোর ডটকম’ কাস্ট করে।”


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ