শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে সাভারে হেফাজতের বিক্ষোভ আমরা একজোট হয়ে ভারতকে জবাব দেব: মাওলানা ফজলুর রহমান পটিয়ার সাবেক সিনিয়র উস্তাদ মাওলানা আব্দুল মান্নান দানিশের ইন্তেকাল নারী সংস্কার কমিশনের কিছু ধারা কোরআন-সুন্নাহর খেলাপ: জামায়াত আমির  ‘নারী সংস্কার কমিশনের উদ্দেশ্য ধর্মীয় ও পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস করা’ ঐতিহাসিক দারোগা বাগানের ৩ একর জায়গা উদ্ধার করলেন বন বিভাগ  পেহেলগাম হত্যার তীব্র নিন্দা দারুল উলুম দেওবন্দের অবশেষে ভারতীয়দের ভিসা বাতিল করল পাকিস্তান হজযাত্রায় গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর! পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলা

আমরা কি কিছুই বলতে পারব না? প্রধান বিচারপতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আপনারা প্রধান বিচারপতি ও কোর্টের স্বাধীনতা খর্ব করতে করতে এমন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন আমরা কি কিছুই বলতে পারব না? আজ মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসংক্রান্ত আপিল শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে উদ্দেশ করে এ মন্তব্য করেন।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর সংসদে এই নিয়ে সমালোচনা এবং অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি নিয়ে গতকাল সোমবার আইনমন্ত্রীর আনিসুল হকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালত থেকে এ বক্তব্য আসল।

ভ্রাম্যমাণ আদালতসংক্রান্ত মামলার শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা জাজদের মধ্যে ডিভিশন সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। আমরা কি কোর্টে বসে মন্তব্য করতে পারব না? কিছু কিছু মন্ত্রী এজলাসে বসে কথা বলার বিষয়ে মন্তব্য করেন। এটা কি ফেয়ার? আপনাকে প্রশ্ন করছি।

তখন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, দুই দিক থেকে বক্তব্য আসে। বক্তব্য মিডিয়া লুফে নেয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনি কেন এ কথা বলছেন? বিচারে আমরা পলিটিক্যাল মন্তব্য দিই না। বিচার বিভাগসংক্রান্ত বক্তব্য দেই। বিচার বিভাগে যখন যে ইস্যু চলে আসে। যেমন আজকে মোবাইল কোর্ট সম্পর্কে। না বললে কি থাকল।

তিনি আরও বলেন, পলিটিক্যাল কথা বলছি না। মি. অ্যাটর্নি জেনারেল আপনারা জাজদের মধ্যে ডিভিশন সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। কোর্ট প্রসিডিংসে আদালতের কার্যক্রমে যা হয় তা নিয়ে পার্লামেন্ট এবং পাবলিকলি কথা বলার সুযোগ নেই।

এস কে সিনহা বলেন, মাসদার হোসেন মামলায় ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং ১১৬ অনুচ্ছেদের এর ব্যাখ্যা দিয়ে মামলার রায় হয়েছে। এখন যদি আপনাদের কাছ থেকে ব্যখ্যা শুনতে হয় তাহলে দুঃখজনক।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসংক্রান্ত আইনের কয়েকটি ধারা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেন আদালত। এ সময় পর্যন্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদও বৃদ্ধি করা হয়েছে।


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ