মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
প্রাইমারিতে এবার কুরআন শিক্ষক নিয়োগ চূড়ান্ত হোক ন্যায়ের শিরায় আজ বিষধারা প্রবাহিত সাপের কামড়ে প্রাণ গেল ইমামের চট্টগ্রামে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের মতবিনিময় সভা জুলাই আন্দোলনের অগ্রসেনানী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ খুলনায় হাতপাখার সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির জরুরি বৈঠক সার্বিক উন্নয়ন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই: হাফিজ ফখরুল ইসলাম ফরিদপুরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীর প্রচারণার গেট ও ব্যানার ভাঙচুর  জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে: এ টি এম মাছুম জামায়াত আমিরের আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যিনি

কারাজীবন নিয়ে উর্দুতে দেড় হাজার পৃষ্ঠা লিখেছেন ইবনে শাইখুল হাদিস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: রাকিবুল হাসান

শুক্রবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের যুগপূর্তি উৎসব ও লেখক সম্মিলনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির (ইবনে শাইখুল হাদিস) বলেছেন, লেখালেখি করতে পারাটা একজন শিক্ষিত মানুষের মৌলিক একটা যোগ্যতা হওয়া উচিত। যে যোগ্যতা ছাড়া একজন শিক্ষিত মানুষ, জ্ঞানী মানুষের লেখক সত্তা জেগে না উঠে তাহলে আমার কাছে মনে হয় প্রতিবন্ধিত্ব।

আমিরে মজলিস বলেন, একজন মানুষের যদি লেখক সত্তা থাকে, পৃথিবীতে তার থেকে অনেক বেশি উপকৃত হয়। একজন লেখক যদি হজে যায়, তাহলে একটা হজের সফরনামা হয়। অনেক হাজি হজে যান, কিন্তু সেই বছরের হজের ইতিহাসটা পরবর্তী হাজার বছর পর্যন্ত মানুষ জানতে পারে একজন লেখক হাজির মাধ্যমে।

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, হাজার মানুষ কারাগারে যায় কিন্তু একজন লেখক কারাগারে গেলে একটি কারা-সাহিত্য তৈরি হয়। যুগের অত্যাচারী শাসকরা কীভাবে অত্যাচার এবং নির্যাতন চালিয়েছে, সেই সময়ের মাজলুমদের ভাবনাগুলো কী ছিল, চার দেওয়ালের বন্দিজীবনে তারা কী ভেবেছে, কী করেছে—সে কথাটা বাহিরের জগতের মানুষ তখনই জানতে পারে যখন একজন লেখক কারাগারে যায়। এজন্য বলা যায়, যারা কারাগারে যায় তাদের লেখক হওয়া উচিত।

আমিরে মজলিস বলেন, আমি নিজেও কিছু লেখালেখি করতে পারি। সেজন্য আমি যখন ১৩ সালে কারাগারে গেলাম, আমি ৮৩ দিন কারাগারে ছিলাম। আমি তখন একটি বই লিখতে পেরেছি। ‘কারাগার থেকে বলছি’ বইয়ে যারা কারাগারে যান নাই, কারাগারের ভেতরের চিত্র সম্পর্কে জানতে চান, কারাগারের ভেতরের চিত্র জীবন্তভাবে সেখানে ফুটে উঠেছে।

ইবনে শাইখুল হাদিস বলেন, এবারও যে কারাগারে ছিলাম ৩ বছর ১৫ দিন। প্রতিটা দিনই আমি লিখেছি। এবারের কারাগারে অনেক সীমাবদ্ধতা ও সমস্যা ছিল। কঠিন নজরদারিতে আমাদের রাখা হয়েছিল। সেই নজরদারি সবকিছু ফাঁকি দিয়ে বাংলায় লিখতে পারিনি। উর্দুতে লিখেছি। আমার কাছে প্রায় দেড় হাজার পৃষ্ঠা উর্দু পান্ডুলিপি সংরক্ষিত আছে। আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই, সেটা যেন বাংলায় ভাষান্তরিত হয়ে পাঠকের সামনে আসতে পারে। সেই ৩ বছরের ভাবনাগুলো দিয়ে সুসময়ের ভাবনা এবং কঠিন সময়ের ভাবনাগুলো দিয়ে আপনারা আমাদেরকে মূল্যায়ন করতে পারবেন—আমরা কতটা সৎ এবং আমাদের মধ্যে কতটা অসততা আছে।

নবীন লেখকদের উদ্দেশে আমিরে মজলিস বলেন, প্রত্যেকে নিজেকে সবসময় লেখক হিসেবে চিন্তা করবেন, ভাববেন। এটার ভালো ফলাফল হলো প্রতিটি কাজের মাধ্যমে একটি লেখা জন্ম নেবে। কোনো লেখক সত্তা যেন পরিস্থিতির শিকার হয়ে অকালে ঝরে না পড়ে,  এর দায়িত্ব একজন লেখকের নিজের ও এবং পারিপার্শ্বিক যারা আছে তাদেরও।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ