সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
তিন পুরুষের জমিয়ত উত্তরসূরী মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী আজ হজ ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা হেফাজতের খুলনা মহানগরী সভাপতি মাওলানা সাখাওয়াত, সম্পাদক গোলামুর রহমান যুদ্ধের মাঝে যৌথ অস্ত্র উৎপাদন: ভারত-ইসরায়েল সামরিক সম্পর্কের বিবর্তন তাকওয়ার ছায়ায় মানবসভ্যতার বিকাশ ‘মানুষের ক্ষুধা নিবারণ না করতে পারলে সংস্কার-নির্বাচন ভেস্তে যাবে’ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা কমিটির সভা ৩ মে’র মহাসমাবেশ সফল করতে বগুড়ায় হেফাজতের মতবিনিময় সভা ২৭ খণ্ডের ‘ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ’ অনুবাদ করাচ্ছে সরকার ভারতের প্রসিদ্ধ আলেম স্যাইয়িদ আকীল মাজাহিরির ইন্তেকালে জমিয়তের শোক

উৎসবমুখর পরিবেশে লেখক, প্রকাশক ও সম্পাদকদের সম্মিলনী অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

lpe 2আওয়ার ইসলাম : নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে বিশুদ্ধ চিন্তার প্রতিনিধিত্ব, সহযোগিতা ও ঐক্যের আহবানে আজ অনুষ্ঠিত হলো ইসলামি ধারার লেখক, প্রকাশক ও সম্পাদকদের প্রথম সম্মিলনী। রাজধানী ঢাকার বাংলামোটরে বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে এ সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মিলনের সারা দেশের প্রায় দুই শত লেখক প্রকাশক ও সম্পাদকগণ অংশগ্রহণ করেন।

মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব ও গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী এবং অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন নন্দিত কথাশিল্পী মাওলানা যাইনুল আবিদীন।

সভাপতির ভাষণের শুরুতে মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী ১৭৫৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত; বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ও আত্মদানকারীদের পরকালীন মুক্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। তিনি বলেন, বিশ্ব সাহিত্যের চাবিকাঠি আমাদের হাতে রয়েছে। আমরা আরবি, ফার্সি ও উর্দু সাহিত্যের বাহক। বাংলা ভাষা চর্চায় আমরা পিছিয়ে নেই। সুতরাং আমাদের জন্য ‘বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র’ এর দুয়ার খুলে দেয়ার সময় এসেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সব আছে। আমাদের সবছিলো। বাংলা ভাষায় আমরাই সাংবাদিকতার পথিকৃৎ, আমরা এ দেশের মুদ্রণ শিল্পে জোয়ার এনেছি, যখন হাতেগোনা কয়েকজন শুদ্ধ বাংলা লিখতো তাদের মধ্যে আমরা ছিলাম। কিন্তু আমরা সেই ধারা অব্যাহত রাখতে পারি নি। এ সম্মিলনির মাধ্যমে আমরা হারানো ঐতিহ্যকে ফিরে পেতে পারি।’

lpe 4

এ সময় তিনি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে অভিনন্দন জানান এবং বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ১০ লাখ টাকা মূল্যের বই প্রদানের প্রস্তাব দেন।

এরপূর্বে লিখিত বক্তব্যে মাওলানা যাইনুল আবিদীন বলেন, ‘একজন লেখককে সময়ের দাবি বুঝতে হয়। শেকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয় আপসহীন বিশ্বাসে। সেই সঙ্গে কাল রুচি চিন্তা ও আদর্শের পথে পথে হেরার প্রদীপ জ্বালতে হলে তথ্যের শক্তি ভাষার প্রাঞ্জল্য সাহিত্যের কারুকাজ উপস্থাপনায় ঋজুতা ও মননের সৃজনশীলতায় হতে হয় অভ্যস্ত।’

সম্মিলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও আওয়ার ইসলাম টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক হুমায়ুন আইয়ুব বলেন, ‘লেখালেখির ময়দানে তরুণদের মিছিল বড় হচ্ছে। তারা যদি নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন তবে বাংলা সাহিত্যে আমাদের একটি সুন্দর ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।’

অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন, লেখক, কলামিস্ট ও সাংবাদিক মাওলানা জহির উদ্দিন বাবর, ছড়াকার ও সাহিত্যসংগঠক মাওলানা মাসউদুল কাদের, লেখক ও অনুবাদক মাওলানা মুজাহিদ হুসাইন ইয়াসিন, মাওলানা মিরাজ রহমান ও জামিয়া কারিমীয়া সাঈদনগরের মুহাদ্দিস মাওলানা জোবায়ের আহমদ আশরাফ।

lpe 3

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আবদুল্লাহ আল ফারূক, মাওলানা আবদুর রাজ্জাক নাদাভি, মাওলানা আহমদ আলী, মুফতি আমিমুল ইহসান, মুফতি গোলাম রব্বানি, মাওলানা আফরাফুল হক, মুফতি জহির ইবনে মুসলিম, মুফতি এনায়েতুল্লাহ, মুফতি আবুল হাসান শামসাবাদী, মাওলানা হাবিবুর রহমান খান প্রমুখ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাদরাসা দারুর রাশাদের  শিক্ষাসচিব ও দৈনিক নয়াদিগন্তের সিনিয়র সহ-সম্পাদক মাওলানা লিয়াকত আলী। তিনি বলেন, ‘আজকের সম্মিলনী শুধু সম্মেলন নয়; বরং সময়ের দাবী। লেখক, প্রকাশক ও সম্পাদকদের মাঝে যদি সম্পর্ক দৃঢ় হয় তবে সবার স্বার্থই রক্ষা পাবে। সবাই উপকৃত হবে এবং সম্পর্ক খারাপ হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’

জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার মুহাদ্দিস বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমি দোয়ার অনুষ্ঠান সমাপ্ত করেন।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ