বুধবার, ২৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ১১ ভাদ্র ১৪৩২ ।। ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মৃত ব্যবসায়ীর কবরে গিয়ে ক্ষমা চাইল জাপানি পুলিশ ও কৌঁসুলিরা গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা দিতে চাওয়ায় ৫ ডাক্তারকে বদলি করা হয়েছিল  গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরাইলে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ কোনো অদৃশ্য শক্তি সরকারকে প্রভাবিত করছে : পীর সাহেব চরমোনাই গুলশানে কবি আল মাহমুদ পাঠাগার উদ্বোধন চাঁদাবাজি নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের প্রধান বাধা: ইসলামী আন্দোলন ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণার প্রথম দিনেই হিজাব পরিহিত নারী প্রার্থীদের প্রতি আক্রোশ বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের পদ ৩ মাসের জন্য স্থগিত বিএনপির শোকজের দীর্ঘ জবাব দিলেন ফজলুর রহমান জুলাই শহীদ পরিবারে সরকারি অনুদান বণ্টনে নতুন বিধিমালা জারি

ইসলামি শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণ চালু করতে আইনি নোটিশ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

দেশে ইসলামি শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণ চালুর দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন একজন আইনজীবী। 

মঙ্গলবার (৩ জুন) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।

নোটিশে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।

আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে দুই ধরনের ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। একটি হলো সুদভিত্তিক কনভেনশনাল ব্যাংকিং এবং অন্যটি হলো শরিয়াভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকিং। যদিও ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, কিন্তু মাইক্রোক্রেডিট খাতে এখনো কোনো শরিয়াভিত্তিক ঋণের ব্যবস্থা চালু হয়নি। ফলে দেশের গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী যারা প্রধানত মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, তারা বাধ্য হচ্ছেন সুদভিত্তিক ঋণ নিতে যা ইসলামি শরিয়ার পরিপন্থী।

আইনি নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এ অবস্থায় শরিয়াভিত্তিক ঋণের ব্যবস্থা না থাকা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থী।

নোটিশে দাবি করা হয়েছে, ইসলামি শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং গ্রামীণ জনগণের জন্য সুদমুক্ত ইসলামি ঋণের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের আদলে মুদারাবা, মুশারাকা, মুরাবাহা, কারজে হাসানা ইত্যাদি শরিয়াভিত্তিক মডেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

আইনি নোটিশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ইসলামি শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণের ব্যবস্থা না করা হলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ