বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্বীকৃতি ঝুঁকিতে ফেলেছে সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের আত্মার বন্ধন এখনো অটুট: মাওলানা ফজলুর রহমান আ. লীগের নাশকতা ও গণহত্যার বিচার দাবিতে যুব মজলিস এর বিক্ষোভ মহাসড়কের পাশ থেকে লাগেজ ভর্তি পেট্রোলবোমা উদ্ধার গণভোটে চারটি বিষয়ের একটি প্রশ্ন, মতামত শুধু হ্যাঁ বা না-তে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ মতভিন্নতা সত্ত্বেও প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত ও ভাষণকে স্বাগত জানাল এবি পার্টি প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে স্বাগত জানাল ১২ দলীয় জোট সংবিধান সংশোধন করে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়ালো পাকিস্তান

পলাতক শক্তির উস্কানি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

|| মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ ||

বর্তমান দেশের প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা শুধু বাহিনীর দায়িত্ব নয়, বরং এটা গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি সমন্বিত দায়িত্ব। বিশেষ করে যখন রাষ্ট্রবিরোধী কোনো পলাতক শক্তি উস্কানি দেওয়ার মতো সাহস দেখায়, তখন সেই সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতা কঠোরভাবে রুখে দেওয়া আবশ্যক। কারণ এক জেলার ঘটনা, যদি যথাযথভাবে মোকাবিলা না করা হয়, তা হলে তা পরিণত হতে পারে বহুজেলা ও বহুমাত্রিক চাঙ্গাভাবের অনুঘটকে।

আমাদের মনে রাখতে হবে—প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, ঘটনার পরের পদক্ষেপের চেয়ে সবসময় কার্যকর। একটি উত্তপ্ত দিনের আগেই যদি সংশ্লিষ্ট নিষিদ্ধ সংগঠনের ৪০-৫০ জন সক্রিয় ও উস্কানিমূলক ভূমিকা রাখা ব্যক্তিকে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আটক করা যায়, তাহলে রাস্তায় নামার মতো ভীড় গঠনের আগেই তা ভেঙে যায়। রাস্তায় একবার শত শত মানুষ নেমে গেলে তখন কেবল লাঠি, গ্যাস বা জলকামান দিয়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

এছাড়াও মিডিয়ার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় দেখা যায়, একটি সীমিত সংঘাতকে ভুল ব্যাখ্যা বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উপস্থাপন করে পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করা হয়। ফলে মাঠে নামা বাহিনীগুলোর কৌশল ও সাহস—উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই রকম পরিস্থিতি যেন ‘বুমেরাং’ না হয়ে দাঁড়ায়, সেজন্য সরকার ও নীতিনির্ধারকদের আগেভাগে সচেতন হতে হবে।

সবচেয়ে জরুরি হলো—আজকের যেকোনো সহিংস ঘটনার শক্ত ও সুপরিকল্পিত ফলোআপ। এটি দুষ্টু ও উগ্র চিন্তার লোকদের জন্য একটি বার্তা হবে: রাষ্ট্র এখনো সজাগ। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদ-উত্তর রাজনৈতিক বাস্তবতায় যেসব ইতিবাচক শক্তি আছে, তাদের ভেতরে কমপক্ষে একটি ন্যূনতম বোঝাপড়া গড়ে উঠতে হবে। তা না হলে এই জাতীয় সুযোগে দমন-পীড়নের নতুন যুক্তি তৈরি হতে পারে।

রাষ্ট্রের এই রূপান্তর-সংকটময় সময়ে, আইনি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিরোধ—তিনটি স্তরেই সংহত উদ্যোগ প্রয়োজন।

লেখক: , আলেম লেখক, সাংবাদিক ও গবেষক

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ