সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বৈরুতে ইসরাইলি ড্রোন হামলা, বহু হতাহতের আশঙ্কা ‘পাকিস্তানের পক্ষে ২ কোটি শিখ’, ভারতকে হুঁশিয়ারি খালিস্তানি নেতার জামায়াতের সাথে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হজসেবায় অত্যাধুনিক মোবাইল অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ চালু হচ্ছে সোমবার  নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন তসলিমা নাসরিনের দোসর : আমিরে মজলিস দাওরায়ে হাদিস পাসে চাকরি দিচ্ছে বোনাফাইড টেক্সটাইল ইসলামি দলগুলোর নির্বাহী কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা দরকার সংস্কার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না : খেলাফত আন্দোলন ‘ইসলামি দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়ার যে সূচনা হয়েছে তা ধরে রাখতে হবে’ ‘ইসলামীবিরোধী নারী কমিশন বাতিল করতে হবে’

ইসলামি দলগুলোর নির্বাহী কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা দরকার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা রুহুল আমিন সাদী (সাইমুম সাদী)

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়েছে এবং আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক সাহেব আমির নির্বাচিত হয়েছেন। আল্লামা জিয়া উদ্দীন সাহেব নিজেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।  

বয়োবৃদ্ধ হওয়ার পর নিজেই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া এটা ইসলামি রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে এক অনুপম সৌন্দর্য আলহামদুলিল্লাহ। অগণিত আলেমের উস্তাদ আল্লামা জিয়া উদ্দীন হাফি, এর হায়াতে আল্লাহ বারাকাহ দান করুন। 

জমিয়ত এই নামটা আক্ষরিক অর্থেই শতবর্ষী। ঐতিহ্যবাহী। জমিয়ত দলগতভাবে কী করেছে তারচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে অগণিত আলেম তৈরি করেছে, অগণিত মাদরাসা তৈরি করেছে।  এসব মাদরাসা থেকে উম্মাহর সূর্য সন্তান মুহাক্কিক আলেমরা বেরিয়ে এসেছেন। 

পল্টনে বিভিন্ন ইসলামি দলের অফিস হওয়ার কারণে ঘোরাফেরা বেশি হয় এবং যোগাযোগও বেশি হয়। গতকাল একই দিন হাফেজ্জী হুজুর রহ.-এর স্মৃতি বিজড়িত খেলাফত আন্দোলনেরও নতুন কমিটি হয়েছে এবং নতুন আমির হয়েছেন মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী। 
ইসলামি দলগুলোর নির্বাহী কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে যে তরিকা ফলো করা হয় তা অনেক ক্ষেত্রে লাভজনক হয় না। বড় মাদরাসার মুহতামিম কিংবা সেলিব্রিটি দেখে, ভক্ত মুরিদান দেখে পদ দেওয়া হয়। কিন্তু এমনও হয় যে, সারা বছর উনার মিটিংয়ে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না৷ 

এই পদ্ধতি চেঞ্জ করা উচিত৷ কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদ করে প্রয়োজনীয় সবাইকে রাখতে পারেন।  কিন্তু নির্বাহী কমিটিতে এমন লোকজনকে রাখতে হবে যারা আসলেই দলে সময় দিতে পারেন,  কাজ করতে পারেন।  

কোথাও কোথাও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি হয়ে ওঠে জাতিসংঘের স্থায়ী কমিটির মতো।  অন্য কাউকে এলাউ করে না৷ কোনো কর্মী নেতার সাথে দ্বিমত পোষণ করলে তার মানোন্নয়ন আটকে দেওয়া হয়৷ এরকম অভিযোগ শোনা যায়। 

দ্বিমত হওয়া, তা প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া দলের স্বার্থেই জরুরি। এমনকি দলের ও দলের নেতাদের সমালোচনা করার ও ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আলাদা কমিটি করা উচিত। যে দলে সমালোচনা বন্ধ সেই দলে স্রোত নেই, গতি থাকে না।  স্রোতহীন নদীর মূল্য নেই। 
হজরত উমর রা.কে যদি মিম্বরে রেখে প্রশ্ন করা যায় তাহলে আমরা তো উনার চেয়ে বড় কেউ নই। কথাগুলো সকল ইসলামি দলের উদ্দেশ্যে বললাম।  

আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক আমাদের কৈশোরের প্রেরণা ছিলেন। উনার বয়ান শুনতাম আগ্রহ সহকারে। সেই তারুণ্য তিনি এখনো অব্যাহত রেখেছেন। আওয়ামী জামানায়ও বায়তুল মোকাররম এর গেটে উনার বিপ্লবী বক্তব্য আমরা শুনেছি আলহামদুলিল্লাহ। 
উলামায়ে কেরামের বিপ্লবী ঐতিহ্যের স্মৃতিধন্য জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে আল্লাহ কামিয়াব করুন।

লেখক: অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও রাজনীতিবিদ

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ