বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
আধুনিক ইতিহাসে অন্যতম নিষ্ঠুর গণহত্যাকারী ইসরায়েল: জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচনে যাবে না এনসিপি: নাহিদ ইসলাম গুমের সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: সেনাবাহিনী জাতিসংঘের সমকামী দূত ও কার্যালয় স্থাপন বাতিলের দাবি খেলাফতের ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৩ ফিলিস্তিনি নিহত তাবেলা সিজার হত্যা : তিনজনের যাবজ্জীবন, চারজন খালাস হযরত মুহাম্মদ (সা.) -এর অবমাননা একটি উসকানিমূলক ও ঘৃণিত কাজ জামেয়া ইসলামিয়া মুনশীবাজারে প্রয়াত শিক্ষকদের স্মরণে আলোচনা সভা ১২ জুলাই মুহতামিম সম্মেলন সফল করতে মানিকছড়িতে মতবিনিময় সভা শুটকি মাছের পুষ্টিগুণ

মুসলিম সমাজে অমুসলিমদের ধর্ম পালনে বাধা নেই: বায়তুল মোকাররমের খতিব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মুহাম্মাদ লুতফেরাব্বী আফনান ||

বায়তুল মুকাররাম জাতীয় মসজিদের মুফতি মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক  বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে যখন শত্রুর ষড়যন্ত্র বেড়ে যায়, তখন বিভিন্ন পরিভাষার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। এগুলো সঠিক অর্থে ব্যবহার না করলে অনেক ক্ষেত্রে ঈমানের পরিপন্থী হয়ে যাবে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে "আন্ত:ধর্মীয় সম্প্রতি ও ঐক্য" পরিভাষা। এই কথার অর্থ হচ্ছে: দেশের সকল নাগরিক ইনসাফের সাথে জুলুমের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয়ভাবে সহঅবস্থান করা। মুসলিম সমাজে অমুসলিমদের ধর্ম পালনে বাধা নেই। তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের জন্য বাধ্যও করা যাবে না। কিন্তু তাদেরকেও এই সমাজের কল্যাণকামী হতে হবে। দেশ-সমাজ বা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়া যাবে না।

তিনি বলেন: সমাজে প্রচলিত আরেকটি কথা হচ্ছে, "ধর্ম যার যার উৎসব সবার"। এটি সম্পূর্ণ ভুল ও অন্যায় কথা। ইসলামের নীতি হচ্ছে, ধর্ম যার উৎসব তার। হাদিসের ভাষ্য হচ্ছে, إن لكل قوم عيد وهذا عيدنا। প্রত্যেক জাতির নিজস্ব উৎসব রয়েছে, আর (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা) আমাদের উৎসব। তাই ‘ধর্মীয় সম্প্রতি’র নামে এসব কুফুরি কাজের কোন বৈধতা নেই।

আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর)  জুমার বয়ানে তিনি এসব বলেন।

খতিব আরও বলেন, শান্তি চুক্তির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। "আমান" বা শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রধান শর্ত হচ্ছে "আমানাত" ও "ঈমান" থাকা। আমানত ও ঈমান আসবে তাকওয়াপূর্ণ জীবন ধারণের মাধ্যমে। এজন্য তাকওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ ক্ষেত্র হচ্ছে আখেরাতের উপর বিশ্বাস। একজন মানুষের মধ্যে যদি আল্লাহর ভয় ও পরকালে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার ভয় থাকে, তাহলে সে কখনোই জুলুম ও অবিচার করবে না। তাই সত্যিকার অর্থে শান্তি চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রতিটি নাগরিককে তাকওয়ার রঙে রঙ্গিন হতে হবে।

এছাড়াও খতিব মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত কৃতি শিক্ষার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমানের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করে বলেন, আমাদের এই তালিবুল ইলম ভাই অল্প বয়সে চলে গিয়েছেন। অনেকে বলে থাকেন অকাল মৃত্যু হয়েছে। ইসলামে অকাল মৃত্যু বলে কিছু নেই। প্রত্যেকে তার নির্ধারিত সময়েই চলে যাবে। জীবন ও মৃত্যুকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন আমাদের পরীক্ষার জন্য। তাই আমাদেরকে সর্বদা ঈমান ও ইনসাফের সাথে চলতে হবে এবং সর্বপ্রকার জুলুম থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষভাবে নারী ও শিশুদের উপর জুলুম থেকে বাচতে হবে। সমাজে অনেক পুরুষ তুচ্ছ কারণে স্ত্রীর উপর অত্যাচার করে। যা নারী দশ মাস তার সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে জন্ম দিয়ে তাকে বাবা ডাক শুনিয়েছেন, তার প্রতি কিভাবে অবিচার করা যায়! বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসুলুল্লাহ সাঃ নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করার নির্দেশ দিয়েছেন। নারীকে সম্মান দেয়া মুত্তাকীর পরিচয়।  আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহিহ বুঝ দান করুন। আমীন।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ