শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
রাজসাক্ষী হওয়ার শর্তে চৌধুরী মামুনকে ট্রাইব্যুনালের ক্ষমা ইসলামী আন্দোলনের গোলটেবিলে অন্য দলের যারা যোগ দিলেন  মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যা, অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতা: যুব মজলিস জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন রক্ষায় পিআরই একমাত্র সমাধান: পীর সাহেব চরমোনাই মিটফোর্ডে পাথর মেরে বর্বরোচিত হত্যার প্রতিবাদে চান্দিনায় বিক্ষোভ  ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় নিহত ১৭ ফিলিস্তিনি খানকায়ে আহমদিয়ার ২৭তম আধ্যাত্মিক কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডে দুই এজাহারনামীয় আসামি গ্রেপ্তার: জানাল র‍্যাব তীব্র গরমে হাতে তৈরি এয়ার কুলারই ভরসা আফগান ট্যাক্সিচালকদের ‘নতুন করে কাউকে ফ্যাসিবাদী হতে দেবো না’ — রিফাত রশিদ

জুলাই গণহত্যায় শেখ হাসিনা ও কামালের বিচার শুরুর নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেয়। এর মধ্য দিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো।

আদালত আগামী ৩ আগস্ট মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের দিন নির্ধারণ করেছেন। পরদিন ৪ আগস্ট থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদার ছাড়াও ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে, গত ১ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন সংক্রান্ত আদেশের জন্য ১০ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপ্রক্রিয়ার শুরুতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্যদিকে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল বর্তমানে পলাতক। তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট মো. আমির হোসেন। মামুনের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন জায়েদ বিন আমজাদ।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি ট্রাইব্যুনালে বলেন, মামলায় উত্থাপিত পাঁচটি অভিযোগই ছিল ‘ব্যাপক ও পদ্ধতিগত’। তাঁর ভাষ্য, “এই অপরাধ সারা দেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলজুড়ে সংঘটিত হয়েছে। কোথাও বাদ যায়নি। প্রতিটি জায়গায় একই কায়দায়, একই নির্দেশনার আলোকে হামলা হয়েছে। এটি ছিল পরিকল্পিত ও সিস্টেমেটিক অপরাধ।”

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, “এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়, যা একটি চেইন অব কমান্ডের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের সহযোগী বাহিনী। প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ ছিল, এবং তা বাস্তবায়িত হয়েছে একইরকমভাবে, দেশের প্রতিটি প্রান্তে।”

তিনি বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, “আমাদের আবেদন—এই তিন আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো যথেষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর অনুমতি দেওয়া হোক।”

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ