আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল-এর একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে হেফাজতে ইসলামের মামলাসংক্রান্ত বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, “হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মাত্র কয়েকদিন আগে (২০ মে ২০২৫) ৪৪টি মামলার তালিকা প্রদান করেছে।”
এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আমিসহ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে মামলা বিষয়ক উপকমিটির দায়িত্বশীলগণ এ বিষয়ে গত চার পাঁচ মাস যাবত সব ধরনের তদবির ও চেষ্টা চালিয়েছি । আমি নিজেই মাননীয় আইন উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে তার কার্যালয়ে দু দু বার সাক্ষাৎ করেছি এবং তাদের দেয়া গাইডলাইন অনুসরণ করে আমরা আমাদের সকল নথিপত্র সুবিন্যস্তরূপে জমা দিয়েছি ।
মাওলানা মামুনুল হক আরও বলেন, প্রথমত মামলাগুলো ডিসি অফিসে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হলে আমরা তা জমা দেই । ঢাকার ডিসির নিকট মামলা জমা দেয়ার সময় মহানগর সভাপতিসহ আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম । তিনি অভিযোগ করে বলেন, একাধিকবার ঢাকার পাবলিক প্রসিকিউটরের অফিসে গিয়ে কাজের অগ্রগতির তদারকি করেছি এবং ডিসি অফিসেও ধর্ণা দিয়েছি । সেখান থেকে সুপারিশসহ ডিসি অফিসে মামলাগুলো জমা হলে ডিসি অফিস থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় এবং মন্ত্রণালয় থেকে কিছু মামলার বিষয়ে প্রত্যাহারের জন্য কার্যক্রম পরিচালনার সংকেতও দেয়া হয় । কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে পিপি এবং আদালতের মধ্যখানে বিষয়টি ঝুলন্ত রয়েছে ।
আইন উপদেষ্টার বক্তব্যের জের ধরে হেফাজতের এই নেতা বলেন, আজ হঠাৎ এই মুহূর্তে আমরা জানতে পারলাম আইন উপদেষ্টা নিজেই মামলার তালিকা নিচ্ছেন । ৪৪টি মামলার তালিকা জমা দেওয়ার বিষয়টি হেফাজতের অফিশিয়াল কোন বিষয় নয় । হেফাজত থেকে অত্যন্ত সুবিন্যস্ত রূপে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র বহু পূর্বেই নির্দিষ্ট নিয়মমাফিক জমা করা হয়েছে এবং প্রতিটি সাক্ষাতে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছি ।
প্রধান উপদেষ্টার মামলা প্রত্যাহারে আশ্বাসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সর্বশেষ গত ২৫তারিখে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে এ বিষয়টি আমরা উত্থাপন করলে উপস্থিত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান সাহেবকে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা নিজেই এক মাসের মধ্যে মামলার বিহিত করার আশ্বাস দিয়েছেন ।
এমএইচ/