শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১১ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের, ‘উসমান হাদির হত্যা মামলায় সরকারের ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয়’ আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুসলিম শিক্ষককে গুলি করে হত্যা ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন

নতুন প্রস্তাবে রাজি হামাস, শর্ত দিচ্ছে ইসরায়েল


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলকে রাজি করাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মিসর। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আব্দেল এতি বলেছেন, এখন সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের হাতে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হলে ইসরায়েলকে চাপ দিতে হবে। এর মাধ্যমে গাজার ভয়াবহ মানবিক সংকট কিছুটা লাঘব করা সম্ভব হবে।

মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দুই পক্ষের মধ্যে ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। এ সময়ে ১০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

মধ্যস্থতাকারীরা জানিয়েছেন, হামাস এ প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। তবে ইসরায়েল বলেছে, তারা আগামী শুক্রবারের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে মতামত দেবে।

এরই মধ্যে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েল কেবল ১০ জন জীবিত জিম্মি নয়, জীবিত-মৃত মিলিয়ে মোট ৫০ জন জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দিতে চায়। এতে মূলত নতুন প্রস্তাবটি ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও শুক্রবার পর্যন্ত তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করা হবে।

অন্যদিকে, গাজার সীমান্তে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করেছে মিসর। ইসরায়েল গাজা সিটিতে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে বিপুল সংখ্যক গাজাবাসী মিসরের উত্তর সিনাই অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে—এই আশঙ্কায় সীমান্তে সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে দেশটি।

মিসরের এক সামরিক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছেন, বর্তমানে উত্তর সিনাইয়ে প্রায় ৪০ হাজার সেনা অবস্থান করছে। যা ১৯৭৯ সালের ইসরায়েল-মিসর শান্তিচুক্তিতে নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে আমরা মিসরের সেনাবাহিনীকে এতটা সতর্ক অবস্থায় দেখিনি। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ আল-সিসির সরাসরি নির্দেশনায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কাউন্সিল ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত দেন।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ