রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫ ।। ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
জমিয়ত আজ যা বলে কালও তাই বলে: মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বিএনপিও আ.লীগের মতো হত্যার রাজত্ব কায়েম করেছে: নুর বিএনপিকে ‘চাঁদাবাজি ও খুনাখুনির’ রাজনীতি বন্ধ করতে বলল হেফাজত পাথর মেরে হত্যার নিন্দা ও পিআর পদ্ধতির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান জমিয়তের ইয়ামিনকে গুলি করা সেই পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার ‘চাঁদাবাজিতে আতঙ্কগ্রস্ত জাতি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমূল সংস্কার প্রয়োজন’ মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ড আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে: শায়খে চরমোনাই গাজায় ইসরায়েলি ব্যর্থতা ও প্রতিরোধ আন্দোলনের কৌশলগত উত্থান জুলাই যোদ্ধাদের ‘জাতীয় বীর’ উপাধি দিতে হবে: মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ‘নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজ ও খুনিদের ঠাঁই হবে না’

ভারত কখনো বাংলাদেশের কল্যাণ চায়নি: চরমোনাই পীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের কল্যাণ কখনো চায়নি। এজন্য ভারত সময়ে অসময়ে বাংলাদেশের ক্ষতি সাধন করতেই বেশি পছন্দ করে।

আজ শনিবার ( ২৪ আগষ্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সম্মিলিতভাবে ভারতের পানি আগ্রাসন রুখে দিতে হবে। ভারত যে অপরাধ করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে বিচার চাওয়া উচিত। অসময়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে অন্যায়ভাবে বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চলগুলোতে ইতিহাসের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে।

আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই অপরাধের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে বলিষ্ঠভাবে এখনই সোচ্চার হতে হবে। দুই দেশের অভিন্ন ৫৪টি নদীর ৫১টি নদীতে আন্তর্জাতিক নদী আইন অম্যান্য করে ভারত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উজানে অসংখ্য বাঁধ, ব্যারেজ দিয়েছে এবং ভিন্নখাতে একতরফাভাবে পানি ছাড়ছে ও প্রত্যাহার করছে। ভারতের এই পানি আগ্রাসনের কারণে গোটা বাংলাদেশে আজ বর্ষায় তলিয়ে যাচ্ছে এবং গ্রীষ্মে মরু আকার ধারণ করছে। ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প আন্তর্জাতিক নদী আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে হবে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের কর্মতৎপরতা : বন্যার থেকে শুরু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইসলামী আন্দোলন এবং এর সকল সহযোগি সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদের কর্মতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে একটি কেন্দ্রীয় টিমও ফেনী এলাকায় রয়েছেন। কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, বি-বাড়ীয়া, খাগড়াছড়ি, সিলেট, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইসলামী আন্দোলনের হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।

সবশেষ আজ বেলা ১১ টায় নোয়াখালী বেগমগঞ্জ এলাকার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ