শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১০ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

২০২৩ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৪৫

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক সহিংসতায় সারা দেশে ৪৫ জন নিহত হয়েছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ৭ হাজার মানুষ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিশ হাজারের বেশি। রোববার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের সময় এই তথ্য জানায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। 


বছরজুড়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করে সংগঠনটি। তারা জানায়, ২০২৩ সালে ২৯০ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হন ৭৮ জন সাংবাদিক। 

‘মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৩: আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ বছর বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ২০ জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৯। এ বছর কারা হেফাজতে মারা গেছে ১০৫ জন, যা গত বছর ছিল ৬৫ জন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে গুমের শিকার হয়েছে ৯ জন। এর মধ্যে ৬ জনকে পরবর্তিতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 


এছাড়া ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৭৩ জন নারী। এর মধ্যে হত্যার স্বীকার হয়েছে ৩৩ জন এবং আত্মহত্যা করেছে পাঁচজন। ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ২১টি ঘটনা ঘটেছে। সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ৩০ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছে, যা গত বছর ছিল ২৩ জন।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রতিবেদন প্রদান করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল।  প্রতিবেদনে ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত মানবাধিকারের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পরিসংখ্যানগত চিত্র তুলে ধরে সেসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রদান করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত বছরের ন্যায় এ বছরও ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, পারিবারিক নির্যাতন, সালিশ ও ফতোয়াসহ নারীর প্রতি বিভিন্ন ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বছর যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ১৪২ জন নারী। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ১২২ জন পুরুষ। এ বছর উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১২ জন নারী। এ ছাড়া যৌন হয়রানির প্রতিবাদ ও উত্তক্ত্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৪ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ খুন হয়েছেন।

এনএ/ 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ