মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ ।। ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২০ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
নতুন বাংলাদেশ গঠনে ৭ দফা বাস্তবায়নের আহ্বান জামায়াত নেতা বুলবুলের ‘বিএনপি নেতার ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজকে আরও উস্কে দেবে’  ফিশিং ট্রলারসহ ৩৪ ভারতীয় জেলে আটক ‘জুলাইয়ে উলামায়ে কেরাম বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হকের পথে ছিলেন’ রাষ্ট্রের টাকায় পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নে উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ: হেফাজত ৭ লাখ টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, যা বললেন এনসিপি নেতা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে : মির্জা ফখরুল  গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর ‘মহা বিপর্যয়’, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের দাবি ইসলামি দলগুলোর ঐক্যচেষ্টায় পিআর কি বাধা হয়ে দাঁড়াবে? রাতে চরমোনাই যাচ্ছে এনসিপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলাসহ রংপুরের কয়েকটি উপজেলার ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় রংপুরের কাউনিয়া পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে। আর দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচে।

স্থানীয়রা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই ফের বন্যার আশঙ্কায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ। এ নিয়ে ১০ বারের মতো বন্যার কবলে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, তিস্তার পানি প্রবাহ কাউনিয়াতে বেশি থাকলেও ডালিয়া পয়েন্টে কম রয়েছে। মূলত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীতে পানি করেছে। বৃষ্টিপাত কমে গেলে তিস্তা পানি কমছে শুরু করবে। এ নিয়ে চলাঞ্চলের মানুষের দুশ্চিন্তা কারণ নেই।

তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফের পানিবন্দি হতে শুরু করেছে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী পরিবারগুলো। এসব অঞ্চলে বিগত বন্যায় শুরু হওয়া ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা প্রশাসন।

এম আই/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ