শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

শাইখুল ইসলামের চলে যাওয়ার ৩ বছর


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আজকের এই দিনেই (শুক্রবার) সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে রাজধানী ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। তার ইন্তেকালে শোক নেমে এসেছিল পুরো দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ,-একই সঙ্গে ছিলেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ও আল হাইয়াতুল উলিয়ার চেয়ারম্যান। তিনি দীর্ঘ ৩৪ বছর সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালকের পদে।

আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পাখিয়ারটিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম ও ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় পড়াশোনা করেন।

হাটহাজারী মাদরাসায় শিক্ষকতার মাধ্যমে শুরু হয় আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.-এর কর্মজীবন। ১৯৮৬ সালে তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক পদে যোগ দেন। এরপর থেকে টানা ৩৪ বছর ধরে সুনামের সাথে তিনি ওই পদে ছিলেন।

আল্লামা আহমদ শফী রহ.- এর নেতৃত্বে ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্র্স (আরবি-ইসলামিক স্টাডিজ)-এর সমমান ঘোষণা করেন।

১৯ আগস্ট ২০০১ সালে ওমরা পালনকালে হারামাইন শরিফাইনের মহাপরিচালক শায়খ সালেহ বিন আল হুমাইদ পবিত্র কাবার গিলাফের একটি অংশ উপহার প্রদান করেন।

২০০৫ সালে জাতীয় সিরাত কমিটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাঁকে ‘শ্রেষ্ঠ ইসলামী ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে সম্মাননা ও স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। এ ছাড়া দেশের অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন তাঁকে নানা সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত করেছে।

স্ত্রী ফিরোজা বেগমের সঙ্গে পারিবারিক জীবন গড়েন আল্লামা আহমদ শফী। দুই ছেলে ও তিন মেয়ের জনক তিনি। বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ পাখিয়ারটিলার মাদরাসার পরিচালক। ছোট ছেলে মাওলানা আনাস হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক। মেয়েদের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে পাত্রস্থ করেছেন।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ