মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
প্রতিদিন কাঠবাদাম খাওয়ার অবিশ্বাস্য উপকারিতা আমির হামজার সঙ্গে নির্বাচনি লড়াইয়ে বিএনপির জাকির হোসেন মসজিদ পরিচালনার নতুন অ্যাপ মাসাজিদ হাসনাত-সারজিস-আখতার-নাসীরের আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা জাকির নায়েককে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিতে স্মারকলিপি সুদান সংঘাত: নেপথ্যে আমিরাত-ইসরায়েল? ‘মতানৈক্য থাকতে পারে, কিন্তু মতবিরোধ যেন না হয়’, দেশে ফিরে জামায়াত আমির ইবনে শাইখুল হাদিসের পছন্দের আসনে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি, নেপথ্যে কী? ধানের শীষের মনোনয়ন তালিকা থেকে বাদ পড়লেন বিএনপির প্রভাবশালী নেতারা! ইসরায়েলপ্রীতি ছাড়লেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক সম্ভব: খামেনি

বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা যেসব বিষয় নিয়ে তর্ক করে না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।। নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আজকের সমাজে কথার লড়াই যেন রোজকার চিত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন—তর্ক যেন সব জায়গায় উপস্থিত। তবে মনীষীরা বলেন, “প্রতিটি তর্কে অংশ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়।” বরং সত্যিকার বুদ্ধিমান ও প্রজ্ঞাবান মানুষ নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে কখনোই তর্কে জড়ান না। ইসলামি জ্ঞান, মনোবিজ্ঞান এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে এমন কিছু বিষয়ের কথা জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা—যেগুলো নিয়ে তর্ক না করাই উত্তম।

অজ্ঞ লোকের সাথে তর্কে লাভ নেই: ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলেন, “অজ্ঞদের সাথে তর্ক করো না, কারণ মানুষ বুঝবে তুমিও তার মতো।”যুক্তিহীন মানুষ যখন তর্কে নামে, তখন সত্যের পক্ষে যুক্তি দিয়েও ফল পাওয়া যায় না।

ধর্মীয় খুঁটিনাটি বিষয়ে বিতর্ক: তারাবির রাকাআত, ঈদের তাকবির, ফাতিহা না পড়লে নামাজ হয় কি না—এসব বিতর্কিত বিষয় নিয়ে বুদ্ধিমানরা তর্কে যান না। তারা আলেমদের নির্দেশনা মেনে চলেন ।

অতীতের ভুলচুক নিয়ে তর্ক: কে কবে কী করেছিল, কে কাকে দোষারোপ করেছিল—এসব নিয়ে তর্ক করে সময় নষ্ট করা বোকামি। বুদ্ধিমানরা অতীত থেকে শিক্ষা নেন, কিন্তু তর্কে যান না।

রুচির বিষয় নিয়ে বিতর্ক নিষ্প্রয়োজন: খাবার, পোশাক, গান, সংস্কৃতি—এসব নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা অপ্রয়োজনীয়। কারও রুচি বা ব্যক্তিগত পছন্দকে সম্মান করাই শ্রেয়।

মহান লক্ষ্য যাদের, তারা তুচ্ছ বিষয়ে নীরব: যারা আখেরাত ও বড় লক্ষ্যের দিকে নজর রাখেন, তারা তুচ্ছ বিষয়ে কথা কাটাকাটি করেন না। ইসলামি শিষ্টাচারও  এটাই শিক্ষা দেয়।

তর্ক সবসময় জ্ঞান বাড়ায় না। বরং অহংকার, ভুল বোঝাবুঝি ও হিংসার জন্ম দেয়। বুদ্ধিমানরা জানেন, কখন নীরব থাকাই সর্বোত্তম। তারা আত্মসংযমের মাধ্যমে সামাজিক শিষ্টাচার বজায় রাখেন এবং নিজেকে প্রমাণ করেন আচরণে—not by argument, but by conduct.

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ