ইসলামে জীবনের প্রতিটি কাজের শুরুতে আল্লাহর স্মরণ এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এমনকি জামা-কাপড় পরার সময়ও রয়েছে বিশেষ দোয়া, যা একজন মুমিনের দৈনন্দিন জীবনে শালীনতা, কৃতজ্ঞতা এবং সৌন্দর্যবোধ জাগ্রত করে।
হাদিসে এসেছে, পোশাক পরার সময় রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়তেন:
أُلْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي مَا أُوَارِي بِهِ عَوْرَتِي، وَأَتَجَمَّلُ بِهِ فِي حَيَاتِي
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি কাসানি মা উয়ারি বিহি আওরাতি ওয়া আতাজাম্মালু বিহি ফি হায়াতি।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এমন পোশাক পরিধান করিয়েছেন, যার মাধ্যমে আমি আমার লজ্জাস্থান ঢেকে রাখি এবং যার মাধ্যমে আমি আমার জীবনে সৌন্দর্য লাভ করি।
(তিরমিজি: হাদিস নম্বর ৩৫৬০)
ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দোয়া শুধু পোশাক পরার সময় নয়, বরং একজন মুসলিমের চিন্তা-চেতনায় নম্রতা, কৃতজ্ঞতা এবং পরিশীলিত আচরণের পরিচায়ক। এর মাধ্যমে পোশাক শুধু বাহ্যিক আচ্ছাদন নয়, বরং আল্লাহর দেয়া এক নিয়ামত হিসেবে বিবেচিত হয়।
ইসলামী জীবনব্যবস্থায় জামা-কাপড়কে শুধুই ফ্যাশন বা বিলাসিতা নয়, বরং শালীনতা, ইজ্জত ও আত্মমর্যাদার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। তাই নতুন জামা বা পুরনো জামা যাই হোক না কেন, দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা গুরুত্বপূর্ণ।
ইসলামী চিন্তাবিদরা আরও বলেন, ছোট ছোট এ দোয়াগুলো পরিবারে ও শিশুদের মধ্যে শিক্ষা দেওয়া উচিত। এতে করে প্রজন্মের মধ্যে ইসলামী মূল্যবোধ ও শিষ্টাচার সহজে গড়ে উঠবে।
এনএইচ/