বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ ।। ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২১ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাদরাসায় আরবির পাশাপাশি ইংরেজির ওপর জোর দিতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা সংসদ ভাঙার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক, ১২০ দিনে নির্বাচন চায় জামায়াত মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনে গণভোট লাগবে : আলী রীয়াজ মহিলা মাদরাসাগুলোকে বেফাকের অধীনে সুসংগঠিত করতে হবে: মুফতি আশরাফুজ্জামান কারাগার কেবলই শাস্তির স্থান নয়,  সংশোধনাগারও: ধর্ম উপদেষ্টা রাজনীতিতে শিষ্টাচার লঙ্ঘন করলে পতিত শক্তি সুযোগ নেবে: পীর সাহেব চরমোনাই কোরআনে যেসব প্রাণীর নাম বর্ণিত হয়েছে যেসব সুযোগ-সুবিধা পান দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষার্থীরা খেলাফত মজলিস বার্মিংহাম শাখার মজলিসে শুরার অধিবেশন 

চিন্তা টেনশন থেকে মুক্তির দোয়া 

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

||মোহাম্মাদ হুজাইফা||

‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল, নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান-নাসির’ অর্থাৎ আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনিই উত্তম কর্মবিধায়ক। আল্লাহ তায়ালাই উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী। সুরা আলে ইমরানের ১৭৩ নম্বর আয়াতের অংশ। 

এই আয়াতাংশটি মর্যাদাপূর্ণ একটি দোয়া। কোনো বিষয়ে চিন্তিত হলে বা কখনো মুসিবত আসলে এই দোয়া মুমিনের অন্তরে প্রশান্তি এনে দেয়। 

দোয়াটির উৎস

উহুদ যুদ্ধের সময় আয়াতটি নাযিল হয়। মক্কার মুশরিকরা আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে মুহাম্মাদ সা. ও মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে মদিনার দিকে এগিয়ে আসছিল। তখন মদিনার ইহুদিরা মুসলমানদের ভয় দেখানোর জন্য বলছিল যে, মক্কার লোকেরা তোমাদের ধ্বংস করতে অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসছে। কিন্তু মুসলমানরা ভয় না পেয়ে ইহুদিদেরকে দৃঢ়তার সঙে্গ বলছিলেন, আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট। এই প্রেক্ষিতে আয়াতটি নাযিল হয়।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বর্ণনা করেছেন, ইবরাহিম আ. কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করা হয়েছিল তখন তিনি এই দোয়া পড়েছিলেন। রাসুল সা. উহুদ যুদ্ধের সময় কাফেদের জবাবে এই দোয়া পড়েছিলেন।(বুখারি, ৪৫৬৩) 

আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেছেন, গুরুভার বিষয় সামনে আসলে তোমরা ‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল’ এই দোয়া পাঠ করবে। (তাফসির ইবনে কাসির, ২/১৪৮)

রাসুল সা. এই দোয়ার প্রতি বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন। আমরা যে কোনো পরিস্থিতি বা বিপদের সম্মুখীন হলে এই দোয়া পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে পারি। যেকোনো অন্যায়-অত্যাচার-অবিচারের শিকার হলে অথবা অন্যায়ভাবে কারাবন্দি থাকলে দোয়াটি বেশি বেশি পড়লে সবকিছু সহজ হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। 

চিন্তা মুক্তির জন্য আরও একটি দোয়া আছে: ‘হাসবিয়াল্লা-হু-লা-ইলাহা ইল্লা-হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুওয়া রব্বুল আরশিল আযীম’। 

অর্থাৎ আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। তার উপর ভরসা করেছি। তিনি আরশের অধিপতি। (আবু দাউদ, ৫০৮১)

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ