বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫ ।। ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
জুলাই আন্দোলন দমাতে ছোড়া হয় ৩ লাখ রাউন্ড গুলি বরিশালে গতি ফিরছে নূরানী বোর্ডের কাজে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস খারুয়া ইউনিয়নের দাওয়াতি মজলিস অনুষ্ঠিত ফ্যাসিবাদ বন্ধে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সর্বোত্তম পন্থা: চরমোনাই পীর দ্রুত গুম-খুনের বিচার ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি খালেদা জিয়ার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে খেলাফত মজলিসের ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি  জুলাই স্মরণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন-এর দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা মানবিক-ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার সময় এখনই : তারেক রহমান যেকোনো দিন গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে: ট্রাম্প জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার ইসলাহি মজলিস বৃহস্পতিবার

হাদিয়া হারাম উপার্জনের হলে গ্রহণ করা জায়েজ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কিছু মানুষ প্রকাশ্যে সরাসরি হারাম উপার্জনে লিপ্ত। তার অন্য কোনো বৈধ উপার্জন নেই। এমন ব্যক্তি যদি হাদিয়া বা আর্থিক সাহায্য দেয় তা হলে হারাম থেকে হয়েছে বলেই ধর্তব্য হবে। তাই তার আর্থিক সাহায্য বা হাদিয়া গ্রহণ করা কোনোভাবেই ঠিক হবে না। কেননা আল্লাহ তায়ালা কেবল হালাল ভক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদেরকে আমি যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে হালালগুলো ভক্ষণ করো।’ (সুরা বাকারা : ১৭২)।

রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘নিশ্চয় হালাল স্পষ্ট; হারামও স্পষ্ট। হালাল ও হারামের মধ্যে অনেক সন্দেহযুক্ত বিষয় রয়েছে, যা অনেক মানুষই জানে না। সন্দেহযুক্ত বিষয় থেকে বিরত থাকলে তার দ্বীন ও সম্মান হেফাজতে থাকবে। পক্ষান্তরে সন্দেহযুক্ত বিষয়াবলিতে লিপ্ত হলে সে যেন হারামেই লিপ্ত হলো।’ (মুসলিম : ৪১৭৮)।

ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, যার উপার্জন হালাল-হারাম মিশ্রিত সে যদি কোনো কিছু হাদিয়া দেয় বা দাওয়াত করে, ওই হাদিয়া বা দাওয়াত হালাল মাল থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা যায়, তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েজ। আর যদি হারাম মাল থেকে হাদিয়া বা দাওয়াতের ব্যবস্থা করেছে বলে জানা যায় তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েজ হবে না।

তবে তার যদি অবৈধ উপার্জনের পাশাপাশি বৈধ উপার্জনও থাকে তখন এ সাহায্য বা হাদিয়া বৈধ উপার্জন থেকেও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার অবৈধ উপার্জন থেকেও দিতে পারে। তাই তখন তার সাহায্য বা হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েজ হলেও অনুত্তম।

হজরত ইবনে মাসঊদ রা. বলেন, তার নিকটে জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, আমার একজন প্রতিবেশী আছে যে সুদ খায় এবং সর্বদা আমাকে তার বাড়িতে খাওয়ার জন্য দাওয়াত দেয়। আমি তার দাওয়াত কবুল করব কি? জওয়াবে তিনি বললেন, ‘তোমার জন্য এটি বিনা কষ্টের অর্জন এবং এর গোনাহ তার ওপরে।’

(মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক: ১৪৬৭৫; শরহুস সিয়ারিল কাবির: ১/৯৯; উয়ুনুল মাসাইল, পৃ-২২০; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩৪৩)

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ