বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
গাজায় প্রবেশের অপেক্ষায় ৬ হাজার ট্রাক, বাধা না দেওয়ার নির্দেশ আইসিজের বিএনপি নির্বাচনের দিনই গণভোটে দাবিতে অনড় : ড. মঈন খান কাঁথার সূত্র ধরেই উন্মোচিত হলো মাদরাসাছাত্র হত্যার রহস্য, গ্রেপ্তার সহপাঠী ফিলিস্তিনি বন্দিদের অনেক লাশে ‘নির্যাতন ও হত্যার চিহ্ন স্পষ্ট’: দ্য গার্ডিয়ান যে দোয়া পড়লে স্মরণশক্তি বাড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুতে জাতীয় সেমিনার শনিবার সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি হলেন শেখ সালেহ আল-ফাওজান সৌদির নতুন গ্র্যান্ড মুফতিকে শায়খ সুদাইসের অভিনন্দন হিন্দুত্ববাদী নেতার পোস্টের পর গুজরাটে মুসলিমদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন আজ শেষ

জেন-জি বিক্ষোভে উত্তাল আরেক দেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে নতুন করে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জি প্রজন্মের সদস্যরা। তাদের লাগাতার আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজধানী লিমা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলো। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে ৩০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হোসে জেরি।

বুধবার রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক বিশেষ ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেরি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি শুধুমাত্র কথার মাধ্যমে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়, এখন সময় এসেছে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার।

জরুরি অবস্থার আওতায় সেনাবাহিনীকে রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি নাগরিকদের সমাবেশ, বিক্ষোভ ও মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার সাময়িকভাবে সীমিত করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জানান, এখন থেকে সরকার ‘প্রতিরক্ষামূলক’ নীতি থেকে সরে গিয়ে ‘আক্রমণাত্মক অবস্থানে’ যাবে-অর্থাৎ অপরাধী ও সংগঠিত অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু হবে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দুর্নীতি, মাদক ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে তরুণদের নেতৃত্বে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে পেরুতে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ-তরুণীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন।

গত বৃহস্পতিবারের এক বিক্ষোভে সংঘর্ষে একজন নিহত ও শতাধিক আহত হন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে পেরুতে ১৮ হাজারেরও বেশি চাঁদাবাজির ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে-যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে।

যদিও সরকার দাবি করছে এই জরুরি অবস্থার লক্ষ্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, তবে মানবাধিকার কর্মী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে গণতান্ত্রিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা গুরুতরভাবে হুমকির মুখে পড়বে। তাদের মতে, জরুরি অবস্থা কার্যকর থাকলে বিক্ষোভ কার্যত নিষিদ্ধ হয়ে যাবে, যা তরুণ সমাজের ক্ষোভকে আরও উসকে দিতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর সাবেক প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তেকে দুর্নীতি ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগে কংগ্রেস থেকে অপসারণ করা হয়। এরপর সংসদের স্পিকার হোসে জেরি অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি জানিয়েছিলেন, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজন করবেন।

কিন্তু এরই মধ্যে রাজনৈতিক স্বচ্ছতা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেন-জি প্রজন্মের আন্দোলন সরকারকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে অপরাধচক্রের যোগসাজশের অভিযোগ জনগণের ক্ষোভকে আরও উসকে দিয়েছে।

সূত্র : ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ