গত ৮ মে ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের পুছ জেলার মাদরাসা জিয়া-উল-উলুমে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণে ৪৬ বছর বয়সী শিক্ষক কারী মোহাম্মদ ইকবাল নিহত হন। পুছ পুলিশ জানিয়েছে, ইকবাল একজন সম্মানিত ধর্মীয় শিক্ষক ছিলেন এবং তাঁর কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। তবে, ভারতের নিউজ১৮, রিপাবলিক টিভি ও জি নিউজসহ কয়েকটি মিডিয়া চ্যানেল তাঁকে 'লস্কর-ই-তৈয়বা' বা 'জইশ-ই-মোহাম্মদ' এর শীর্ষ কমান্ডার হিসেবে চিত্রিত করে।
নিউজ১৮ তাদের শিরোনামে 'মারা গয়া ক্বারী মোহাম্মদ ইকবাল' এবং 'মারা গয়া লস্করের খুনখার আতঙ্গী' উল্লেখ করে। রিপাবলিক টিভি 'অপারেশন সিন্ধূর: জঙ্গি ক্বারী মোহাম্মদ ইকবাল কিলড অ্যাট কোতলি ক্যাম্প' শিরোনামে একটি ভিডিও সম্প্রচার করে, যেখানে তাঁকে কোতলি ক্যাম্পে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি এবং পুলওয়ামা হামলার সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করা হয়।
পুছ পুলিশ এই মিথ্যা দাবিগুলোকে 'কঠোরভাবে অস্বীকার' করে জানিয়েছে, 'পুছ পুলিশ এই ধরনের মিথ্যা তথ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। মৃত ব্যক্তি মাওলানা মোহাম্মদ ইকবাল, স্থানীয় সম্প্রদায়ের একজন সম্মানিত ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক ছিল না।'
পুলিশ আরও বলেছে, 'মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করতে হবে এবং নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত কোনো তথ্য প্রকাশের আগে সরকারি সূত্র থেকে তথ্য যাচাই করতে হবে।'
এই ঘটনা মিডিয়া নৈতিকতা এবং সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে মিথ্যা তথ্য প্রচারের পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সূত্র: মুসলিম মিরর
এনএইচ/