শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ।। ৯ মাঘ ১৪৩১ ।। ২৪ রজব ১৪৪৬

শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা: আখতার হোসেন দুদকের মামলায় খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি মিজান কারাগারে নারায়ণগঞ্জের জামিআ রাব্বানিয়া আরাবিয়ায় ইফতা বিভাগে ভর্তির সুযোগ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন: বাহারুল আলম কাল জামি'আ মোহাম্মাদিয়া আরাবিয়ায় বুখারীর শেষ সবক পড়াবেন শায়খ সাজিদুর রহমান সৌদি আরবে বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস, নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ খুলনা মহানগরের কমিটি ঘোষণা করল ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৪ বছরে ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি সিলেটের গওহরপুর মাদরাসার ফুযালা ও প্রাক্তন ছাত্রমিলনী অনুষ্ঠিত মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে যা বললেন নাহিদ ইসলাম

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করে সংকটে ভারত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে যে এক ধরনের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে, তা চলছে এখনও। সমাধান হচ্ছে না ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতারও। খুবই সীমিত পরিসরে ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস।

এ ভিসা প্রতিবন্ধকতায় একদিকে যেমন বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় হাসপাতালগুলোর শরণাপন্ন হওয়া বাংলাদেশি রোগীরা, তেমনি অন্যদিকে বিদেশি রোগীর সংকটে পড়েছে ভারতের চিকিৎসা খাতও। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ৫০ শতাংশেরও বেশি বিদেশি রোগী হারিয়েছে দেশটি। খবর আল জাজিরার।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন গড়ে প্রায় ২০ লাখ বিদেশি রোগী, যাদের ৬০ শতাংশই বাংলাদেশি। কিন্তু বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে গেছে ভারতের হাসপাতালগুলোতে।

অথচ, বিদেশি রোগীদের কাছ থেকে বেশ বড় ধরনের আয় হয় ভারতের, যা দেশটির অর্থনীতিতেও বিশাল অবদান রাখে। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু ২০২৩ সালে এই মেডিকেল ট্যুরিজম খাত থেকে প্রায় ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার (৭৭ হাজার ১৮৯ কোটি রুপি) যোগ হয় ভারতের অর্থনীতিতে।

বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, শেখ হাসিনার পতনের আগে বাংলাদেশে ভারতের পাঁচটি ভিসা কেন্দ্রে দৈনিক অনলাইন ভিসার স্লট ছিল ৭ হাজার। আর এখন এই সংখ্যা মাত্র ৫০০-তে নামিয়ে আনা হয়েছে।

বাংলাদেশি রোগী যাওয়া কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কলকাতার হাসপাতালগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট কলকাতার মাল্টি-স্পেশালিটি পিয়ারলেস হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগে দিনে যেখানে অন্তত ১৫০ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা নিতেন, এখন সেখানে পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশি ৩০ জন রোগীও।

এ ব্যাপারে ভারতের স্বাস্থ্যসেবা অ্যাসোসিয়েশনের আলেকজান্ডার থমাস জানান, বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হেলথ, চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো এবং ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজও (সিএমসি) ভারত সরকারের এই ভিসা প্রতিবন্ধকতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ