মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয় : মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম বিএনপির সঙ্গে জোট করার বিষয়ে যা বললেন রাশেদ খাঁন মহাসড়কে পড়ে ছিল নৌবাহিনী সদস্যের মরদেহ জামিন পাননি বাউল শিল্পী আবুল সরকার, শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ‘দীনি শিক্ষাব্যবস্থায় গুণগত মানের ঘাটতি উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে’ আলোকিত সমাজ গড়তে শিক্ষকদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই : মাসুদ সাঈদী এবার লাখো কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত আয়োজনের ঘোষণা হুমায়ুনের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তার সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের বৈঠক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে আইনি নোটিশ

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করে সংকটে ভারত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে যে এক ধরনের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে, তা চলছে এখনও। সমাধান হচ্ছে না ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতারও। খুবই সীমিত পরিসরে ভিসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস।

এ ভিসা প্রতিবন্ধকতায় একদিকে যেমন বিপাকে পড়েছেন ভারতীয় হাসপাতালগুলোর শরণাপন্ন হওয়া বাংলাদেশি রোগীরা, তেমনি অন্যদিকে বিদেশি রোগীর সংকটে পড়েছে ভারতের চিকিৎসা খাতও। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ৫০ শতাংশেরও বেশি বিদেশি রোগী হারিয়েছে দেশটি। খবর আল জাজিরার।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) প্রকাশিত সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি বছর ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন গড়ে প্রায় ২০ লাখ বিদেশি রোগী, যাদের ৬০ শতাংশই বাংলাদেশি। কিন্তু বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে গেছে ভারতের হাসপাতালগুলোতে।

অথচ, বিদেশি রোগীদের কাছ থেকে বেশ বড় ধরনের আয় হয় ভারতের, যা দেশটির অর্থনীতিতেও বিশাল অবদান রাখে। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু ২০২৩ সালে এই মেডিকেল ট্যুরিজম খাত থেকে প্রায় ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার (৭৭ হাজার ১৮৯ কোটি রুপি) যোগ হয় ভারতের অর্থনীতিতে।

বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, শেখ হাসিনার পতনের আগে বাংলাদেশে ভারতের পাঁচটি ভিসা কেন্দ্রে দৈনিক অনলাইন ভিসার স্লট ছিল ৭ হাজার। আর এখন এই সংখ্যা মাত্র ৫০০-তে নামিয়ে আনা হয়েছে।

বাংলাদেশি রোগী যাওয়া কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কলকাতার হাসপাতালগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট কলকাতার মাল্টি-স্পেশালিটি পিয়ারলেস হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগে দিনে যেখানে অন্তত ১৫০ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা নিতেন, এখন সেখানে পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশি ৩০ জন রোগীও।

এ ব্যাপারে ভারতের স্বাস্থ্যসেবা অ্যাসোসিয়েশনের আলেকজান্ডার থমাস জানান, বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হেলথ, চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো এবং ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজও (সিএমসি) ভারত সরকারের এই ভিসা প্রতিবন্ধকতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ