শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ড আইয়ামে জাহিলিয়াতকেও হার মানিয়েছে: শায়খে চরমোনাই গাজায় ইসরায়েলি ব্যর্থতা ও প্রতিরোধ আন্দোলনের কৌশলগত উত্থান জুলাই যোদ্ধাদের ‘জাতীয় বীর’ উপাধি দিতে হবে: মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ‘নতুন বাংলাদেশে চাঁদাবাজ ও খুনিদের ঠাঁই হবে না’ ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ দেশ নিয়ে এখনো অদৃশ্য চক্র ষড়যন্ত্র করছে : তারেক রহমান ‘চাঁদাবাজদের নিপীড়ন মুখ বুঝে আর সহ্য করবে না জনগণ’ মুফতি আব্দুল্লাহ কাসেমীর ইন্তেকাল, হেফাজত মহাসচিবের শোক  ইসরাইলে সফররত ইমামরা মুসলমানদের প্রতিনিধি নয়: আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় গণঅভ্যুত্থানের শক্তি এখনও মাঠে রয়েছে: নাহিদ

আল শিফা হাসপাতালে হামলায় যে ভয়ঙ্কর বোমা ব্যবহার করেছে ইসরায়েল


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় হামলায় মার্কিন এজিএম-১১৪আর৯এক্স হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলা চালায়। এতে হাসপাতালের অনেক রোগী হতাহত হয়েছেন।

রোগী, চিকিৎসক ও আশ্রয় গ্রহণকারী অন্তত ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি আল-শিফা হাসপাতালে অবস্থান করছিলেন। আগে থেকে একথা জানা সত্ত্বেও গত শুক্রবার রাতে প্রথম ওই হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এরপর রবিবারও হাসপাতালটিতে হামলা চালানো হয়।

একটি মার্কিন সামরিক সূত্র জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাতের হামলায় আমেরিকায় তৈরি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। কয়েকটি অনলাইন সূত্রও একথার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। হেলফায়ার এমন একটি প্রাণঘাতী ক্ষেপণাস্ত্র যা বিস্ফোরিত না হলেও এর ঘূর্ণায়মান ব্লেডের কারণে এটি তিন ফুট দূরত্বের মধ্যে যে কারো শরীর কেটে ছিন্নভিন্ন করে ফেলে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র দেড় কিলোমিটার থেকে শুরু করে ৮ কিলোমিটার দূরত্বের যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে নিক্ষেপ করা সম্ভব। 

হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র ভূমি, সাগর কিংবা আকাশ থেকে নিক্ষেপ করা যায়। গাজার আল-শিফা হাসপাতালে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর কাজে এমকিউ-১, এমকিউ১সি এবং এমকিউ-৯ ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন সামরিক বাহিনীর একজন বিশ্লেষক বলেছেন, হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন থেকে নিক্ষেপ করে বেশি সুবিধা পাওয়া যায় এবং শিফা হাসপাতালে হামলার ধরন দেখে বোঝা যায়, সেখানে হামলার কাজে ড্রোনই ব্যবহার করা হয়েছে।

ওই মার্কিন সামরিক বিশ্লেষক আরো বলেন, যুদ্ধবিমান থেকেও ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা সম্ভব। কিন্তু যুদ্ধবিমান থেকে হামলা করতে হলে বিমানটিকে অনেক নীচে নেমে আসতে হতো; ফলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের গুলিতে বিমানটির ভূপাতিত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কাজেই ক্ষেপণাস্ত্রটি যেমন আমেরিকায় তৈরি তেমনি এটি নিক্ষেপ করার কাজেও মার্কিন ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্রের দাম এক লাখ ৫০ হাজার ডলার বলে তিনি জানান। সূত্র: প্রেসটিভি

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ