দেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইউনূসিয়ার সিনিয়র উস্তায, প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মুফতি আব্দুল্লাহ কাসেমী শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর একটায় ঢাকার আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। তাঁর ইন্তেকালে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
আজ (১২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেন, মুফতি আব্দুল্লাহ কাসেমী (রহ.) ছিলেন একজন প্রজ্ঞাবান, বিনয়ী ও আদর্শ আলেমে দ্বীন। তিনি দারুল উলূম দেওবন্দের ফাযিল ছিলেন এবং সেখানকার অসংখ্য শায়খ ও আসাতিযায়ে কেরামদের ইলমি ও রূহানী তরবিয়তে ধন্য হয়েছিলেন। আমৃত্যু তিনি তাঁর উস্তাযদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, ভক্তি ও আনুগত্য বজায় রেখেছেন— যা তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অন্যতম অনন্য দিক ছিল।
তিনি আরও বলেন, মুফতি আব্দুল্লাহ কাসেমী (রহ.) সদালাপী, মিশুক এবং সবার সঙ্গে সহজ-সরল আচরণ করতেন। দ্বীনের খেদমতে তাঁর নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা ছিল অনুসরণীয়। গত দুইদিন আগে তিনি হৃদরোগ ও মস্তিষ্কে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত ঢাকার আসগর আলী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে আজ দুপুর একটায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র ও দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।
শোকবার্তার মহাসচিব আরও বলেন, এই বিদগ্ধ আলেমের ইন্তেকালে জাতি একজন আদর্শ শিক্ষক ও দ্বীপ্তমান এক ওয়ারিসে নবীকে হারালো। আমরা আল্লাহর দরবারে তাঁর মাগফিরাত কামনায় প্রার্থনা করি— মহান রব্বুল আ’লামীন যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসে উচ্চ মাক্বাম দান করেন। পাশাপাশি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, গুণগ্রাহী ছাত্র-উস্তাযসহ সকল শুভাকাঙ্ক্ষীকে সবর ও ধৈর্য্য ধারনের তাওফিক দান করুন, আমীন।
এমএইচ/