বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫ ।। ২ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২২ মহর্‌রম ১৪৪৭


কেন ডান কাত হয়ে ঘুমাবো?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

|| মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ||

ঘুম মানুষের জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শারীরিক বিশ্রাম, মানসিক প্রশান্তি আর নতুন দিনের জন্য প্রস্তুতি—সবকিছুরই সূচনা হয় একটি গভীর ও স্বাস্থ্যকর ঘুম থেকে। কিন্তু শুধু ঘুমালেই হয় না, কীভাবে ঘুমাচ্ছি—তাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের ভঙ্গি আমাদের শরীর ও স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। আর এ কারণেই ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক বিজ্ঞান—দু’টিই ডান কাত হয়ে ঘুমানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। ডান কাত হয়ে ঘুমানো ইসলামী ও বিজ্ঞান–দুই দিক থেকেই উপকারী হিসেবে বিবেচিত।

ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি:
ডান কাত হয়ে ঘুমানো নবীজী (সা.)-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ডান কাত হয়ে ঘুমাতেন এবং উম্মতকেও তা করতে উৎসাহ দিয়েছেন। (বুখারি, মুসলিম)

আত্মসমর্পণের ভাব:  
মানুষ স্বভাবতই কিছুটা অহংকারী হয়ে থাকে। ডান কাত হয়ে শুয়ে ‘আল্লাহর নামে ঘুমানো’ হলো বিনয় ও আত্মসমর্পণের প্রতীক।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি:
হৃদয়ের ওপর চাপ কম পড়ে:  
যেহেতু হৃদপিণ্ড বাম পাশে থাকে, বাম কাত হয়ে শুলে হৃদপিণ্ডের ওপর চাপ পড়ে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ডান কাত হয়ে শুলে তা কম হয়।
পাচনে সহায়তা করে:  
শারীরিক সুস্থতার জন্য হজম প্রক্রিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। পাকস্থলির গঠন অনুযায়ী ডান দিকে শুলে হজমে সুবিধা হয় এবং অম্বল কমে।

লিভার ও ফুসফুসের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে:  
ডান কাত হলে ঘুমালে লিভার ও ফুসফুসের রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে, ফলে  শরীরের রক্ত সঞ্চালন ও অক্সিজেন গ্রহণ-প্রক্রিয়া আরও কার্যকর হয়।

ঘুমের মান উন্নত হয়:  
গভীর ঘুম শরীরকে দেয় পরিপূর্ণ প্রশান্তি। তাই প্রতিটি মানুষের গভীর ঘুম প্রয়োজন। ডান কাত হয়ে ঘুমালে স্নায়ু বিশ্রাম পায়, ফলে ঘুম আরও গাঢ় হয়।
ডান কাত হয়ে ঘুমানো যেমন সুন্নত, বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও স্বাস্থ্যসম্মত। তাই প্রতিদিন চেষ্টা করা উচিত ডান কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তোলার।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ