বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভেতরে ভেতরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, “ভোটকেন্দ্র আবার ভোটারের পদধ্বনিতে মুখর হোক—এটাই তো চাই। তাহলে নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি কেন, প্রশ্ন উঠছে কেন? নিশ্চয় এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কৃষক দলের প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশে কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল সঞ্চালনা করেন।
রিজভী বলেন, “লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের যৌথ বিবৃতি মানুষের মনে স্বস্তি জাগিয়েছিল। কিন্তু এরপরই দেশে শুরু হলো সংঘাত-রক্তপাত। এটা কেন?”
তিনি দাবি করেন, বিএনপি মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং দোষীদের বহিষ্কার করেছে। দলীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ও কক্সবাজারের কথিত গডফাদারদের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “আওয়ামী লীগ নেতা হলে শেখ হাসিনা নিজে তাদের পক্ষে কথা বলেন। আর বিএনপি হলে, অপরাধ প্রমাণের আগেই দোষারোপ, অপপ্রচার শুরু হয়।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ও ‘কারাবন্দি জীবনের অমানবিকতা’ তুলে ধরে রিজভী বলেন, “তাকে এমনভাবে আটকে রাখা হয়েছে, যেন নিশ্বাস নেওয়ারও জায়গা নেই। অথচ জাতি তার প্রতি সহানুভূতিশীল।”
তারেক রহমানকে ‘নিপীড়নের প্রতীক’ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “তারেক রহমান সাহস ও আত্মবিশ্বাসের নাম। অথচ তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান, গুজব ছড়ানো হচ্ছে। খুলনায় যুবদলের এক কর্মীর পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে, কক্সবাজারে বিএনপি কর্মী আবদুর রহিমকে জামায়াত হত্যা করেছে—এসব নিয়ে কেউ কিছু বলছে না।”
কর্মসূচিতে বক্তারা তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এসএকে/