বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ ।। ১ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২১ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
‘মুফতি আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা উস্কানি ও ষড়যন্ত্রের অংশ’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে লংমার্চ টু গোপালগঞ্জ: ইনকিলাব মঞ্চ জুলাই শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠকমেলার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সহিংসতা, নিহত ৪ জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হবেন না: আসিফ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা কাল গোপালগঞ্জের ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: রেজওয়ানা হাসান গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় হামলা, সারা দেশে যুবশক্তির ‘বাংলা ব্লকেড’ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ধামরাই থানা কমিটি পুনর্গঠন সেনাবাহিনীর এপিসিতে গোপালগঞ্জ ছাড়লেন হাসনাত-সারজিসরা

 “আমরা আইসিসিকে কোনো স্বীকৃতি দেই না” — গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) কর্তৃক আফগানিস্তানের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা এ পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও আইনি ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়ে সাফ প্রত্যাখ্যান করেছে।

সরকারি অডিও বিবৃতিতে ইমারতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র মাওলানা জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হাফিযাহুল্লাহ বলেন,

“আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে কোনো স্বীকৃতি দেই না এবং তাদের প্রতি আমাদের কোনো দায়বদ্ধতাও নেই। এই ধরনের রায় ইমারতে ইসলামিয়ার অবস্থান ও বৈধতার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।”

উল্লেখ্য, ৮ জুলাই আইসিসি আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা হাফিযাহুল্লাহ এবং প্রধান বিচারপতি আব্দুল হাকিম হাক্কানি হাফিযাহুল্লাহ-এর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আদালতের দাবি, আফগান নারীদের শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা, কর্মসংস্থানে বাধা এবং অভিভাবক ছাড়া চলাফেরায় বিধিনিষেধ—এই সবকিছুকে তারা ‘প্রাতিষ্ঠানিক লিঙ্গ-ভিত্তিক নিপীড়ন’ হিসেবে দেখছে।

তবে মুখপাত্র মুজাহিদ হাফিযাহুল্লাহ এসব অভিযোগ নাকচ করে দেন এবং আইসিসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন,

“ইসরায়েল তার মিত্রদের সহায়তায় ফিলিস্তিনে প্রতিদিন নারী-শিশুদের হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, অথচ আইসিসি সেখানে নীরব। মানবাধিকারের দাবিদার এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা একেবারেই লজ্জাজনক।”

ইমারতে ইসলামিয়া বারবার তাদের নীতিকে ইসলামি শরিয়াহ এবং আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করে আসছে। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো—যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ—ইমারতের এসব নীতিকে নারীর অধিকার খর্ব এবং মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে নিন্দা করে আসছে।

তথ্যসূত্র:

IEA rejects ICC arrest warrants for senior Afghan leaders, calls court ‘illegitimate’

সূত্র লিংক

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ