বুধবার, ১৪ মে ২০২৫ ।। ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১৬ জিলকদ ১৪৪৬


পুষ্টি যোগাবে মৌসুমী ফল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ||

ফল খেতে কে না পছন্দ করে। কিছুদিনের মধ্যে মৌসুমি ফলে বাজার সয়লার হয়ে যাবে। এসব ফল শুধু মুখরোচক নয়, পুষ্টিগুণেও দারুণ সমৃদ্ধ। কিন্তু আমাদের অনেকেরই তুমুল আগ্রহ ভিনদেশের ফলের প্রতি। অথচ দূর দেশের আঙ্গুর-আপেলের চেয়ে ঘরের পাশের আম গাছের আম, ঘরের পাশের জাম গাছের জাম স্বাদ এবং পুষ্টিগুণে কোনো অংশে কম নয়।  

ফলের রাজা আম

আম বাংলাদেশের সবচে জনপ্রিয় ফল একথা বললে অত্যুক্তি হবে না। মজাদার, রসালো এই ফলটি ছোট-বড় সবার কাছেই দারুণ পছন্দের। মৌসুমি এ ফলটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রাখে কার্যকরী ভূমিকা। আমে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এর বিটা ক্যারোটিন চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আম খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহ ডায়াবেটিকস-এর ঝুঁকি কমে যায়। আমের বিদ্যমান ক্যারোটিনয়েড গুলো কোলন ও ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আম আয়রন ও সোডিয়ামের ভালো উৎস। 

ঔষুধি ফল জাম 

টক জাতীয় এ ফলটি আমের মতো জনপ্রিয় না হলেও পুষ্টিগুণে আমের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। জামে আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ। যা আমাদের হাড়ের জন্য উপকারী। জামের পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়ন্ত্রণে রাখে গ্লোকোজের মাত্রাও। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীরা বিনা দ্বিধায় আম খেতে পারেন। জামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি পাওয়া যায়। তাই জাম ঔষুধী ফল হিসেবেও বেশ পরিচিত। 

জাতীয় ফল কাঁঠাল 

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। মৌসুমি এ ফলটি অনেকেরই প্রথম পছন্দ। রসালো ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফলটিতে আছে প্রোটিন, ভিটামিন, পটাসিয়াম, শর্করা, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সহ আমাদের শরীরের জন্য নানা উপকারী উপাদান। কাঠাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কাঁঠালে আছে প্রচুর এনার্জি ও খনিজ লবণ। রক্তে গ্লোকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে কাঁঠাল বিশেষ ভূমিকা রাখে। 

সবার প্রিয় লিচু

মৌসুমি এ ফলটি বেশ মুখরোচক। শিশুদের কাছে লিচু বিশেষ প্রিয়। লিচু দেখলে জিভে জল আসে বড়দেরও। লিচুতে আমিষ, শর্করা, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। আছে মিনারেল ও পানি। যা শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। লিচু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ টিউমার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। 

রসে ভরা অনারস 

আনারস সুমিষ্ট ও  রসালো একটি ফল। আনারস সর্দি কাশীতে বেশ কার্যকরী। কাজ করে ব্যথানাশক হিসেবেও। তাছাড়া আনারসে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। আছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম সহ আতি প্রয়োজনীয় নানা উপাদান। 

মৌসুমি ফলের মধ্যে এ কয়টি ফল বেশ সহজলভ্য এবং বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুবই পছন্দনীয়। চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন ২০০ গ্রাম ফল খাওয়া প্রয়োজন। তাই মৌসুমে প্রয়োজনীয় মৌসুমি ফল খেয়ে আপনার পুষ্টির চাহিদা পূরণ করুন। 

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ