সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ।। ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১২ জিলকদ ১৪৪৫


কওমি মাদরাসার ২য় সাময়িক পরীক্ষা প্রস্তুতির বিশেষ পরামর্শ


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
আওয়ার ইসলাম

।। হাসান আল মাহমুদ।।

সময়টা এখন কওমি মাদরাসার ২য় সামিয়ক পরীক্ষার বিশেষ প্রস্তুতির। সাধারণত আরবি মাসের জমাদিউল আওয়ালে কওমি মাদরাসাগুলোতে ২য় সাময়িক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। চলতি (২০২৩-২৪ ইংরেজি) শিক্ষাবর্ষে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের সকল কওমি মাদরাসায়। পরীক্ষা শুরু হওয়ার সপ্তাহ খানেক আগে দেয়া হয় পরীক্ষার প্রস্ততির জন্য বিশেষ সময় ‘খেয়ার’। খেয়ার সপ্তাহটি কওমি শিক্ষার্থীদের সবচে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ তাৎপর্যের কারণে শিক্ষকগণ ছাত্রদের দিয়ে থাকেন নসিহাপূর্ণ দিকনির্দেশনা। আওয়ার ইসলামের শিক্ষার্থী পাঠকদের জন্য মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন উম্মুল মাদারিস খ্যাত দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সহকারী শিক্ষাপরিচালক মাওলানা আহমাদ দীদার কাসেমী । 
 
মাওলানা আহমদ দীদার কাসেমী বলেন, কওমি মাদরাসা পড়ুয়া আমার সকল শিক্ষার্থীদের জন্য এ সময়টা অনেক মূল্যবান। মাদরাসাগুলোর প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই ২য় সাময়িক পরীক্ষা হাজির। সময়টা এমনই। আসবে, যাবে আবার কোন্ সময় এসে পড়বে- টেরই পাবে না। সময় নদীর ঢেউয়ের মতো, যায় আর ফিরে আসে না। এজন্য প্রিয় শিক্ষার্থীরা! তোমরা সময়ের কদর করিয়ো। প্রতিটা সময়ে পড়ালেখার পিছনে ব্যয় করো। নানা গল্প-গুজবে মগ্ন থেকো না। দেশের রাজিৈনতক অস্থিরতা নিয়ে ভাববার সময়ও এখন তোমাদের নয়। তোমাদের কাজ পড়ালেখা করা।

তিনি বলেন, একজন তালিবুুল ইলমের জন্য প্রতিটি কিতাব ভালোভাবে ক্লাসে ধরা, উস্তাযের তাকরির মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করা। তারপর নিজে মুতালাআ করে পড়াগুলো হৃদয়ঙ্গম করা। এ কাজগুলো করে থাকলে তার খেয়ারের সময়টায় ভালো প্রস্তুতি নিতে পারবে। তাইসীর থেকে দাওরায়ে হাদিস সকল শিক্ষার্থী যেন প্রতিটি কিতাব ভালো করে পড়ে বুঝে মুখস্থ করো। পড়ার সময় ভালো করে ফিকির করে পড়া। আরবি কিতাবগুলোর সরফ-নাহু-ছেলাহ অনুযায়ি কোন্ শব্দের কী অর্থ, প্রতিটি শব্দের অর্থ বুঝে মুখস্থ করা চাই।

তিনি আরো বলেন, প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ! শুধু মুখস্থ করলেই হবে না, যেহেতু পরীক্ষা দিতে হবে লিখিত, তাই লেখার চর্চাও করতে তোমাদের। প্রয়োজনে  বিষয়ভিত্তিক শরাহ-ব্যাখ্যাগ্রন্থ দেখবা। কোনো কিতাবের কোনো অংশ যেন অবুঝ থেকে না যায়। খেয়ারের সময় বেশি তাকরার করার প্রয়োজন নেই। তাকরার না করে মনে গেঁথে ফেলো পড়াগুলো। প্রতিটি পাঠ বুঝার জন্য নিজেই প্রশ্ন তৈরী করবা। একেকটি পাঠের কী কী প্রশ্ন হতে পারে, সে অনুপাতে কিতাব মুতালাআ করবা ও মুখস্থ করবা। নানা শরহগুলোতে প্রশ্ন দেয়া থাকে অনেকসময়। প্রশ্ন দেখে উত্তর হল করো। একটা পাঠের কী কী প্রশ্ন হতে পারে সেটা নিয়ে চিন্তা করো। তাহলে প্রশ্ন যেভাবেই আসুক, উত্তর দেয়া সহজ হয়ে যাবে।

এনএ/

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ