বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ মিসরে বাংলাদেশি ছাত্রদের সংগঠন ‘ইত্তিহাদ’-এর নতুন কমিটি দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগে ধর্ম উপদেষ্টার ডিও লেটার সুদানে জানাজায় হামলা, নিহত ৪০

আবু বকরের অভিনব কাঠের মোটর সাইকেল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

অভিনব এক কাঠের সাইকেল তৈরি করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন আবু বকর। দূর থেকে দেখলে সাইকেলটিকে অন্যসব সাইকেলের মতো সাদামাটা মনে হলেও কাছ থেকে দেখলে যে কেউ হবেন বিস্ময়াভিভূত।

টাঙাইলের নাগরপুর উপজেলার সারংপুরের বাসিন্দা হালকা পাতলা গড়নের এই মানুষটি পেশায় কাঠমিস্ত্রি। কাঠমিস্ত্রি বলতে আমরা সাধারণত যারা আসবাবপত্র নির্মাণ করে তাদেরকেই বুঝে থাকি। কিন্তু এতদঞ্চলে যারা টিন এবং কাঠের সমন্বয়ে বাড়ি তৈরি করেন তাদেরকেও কাঠমিস্ত্রি বলা হয়। প্রায় একযুগ ধরে বিশ্বস্থতা ও দক্ষতার সাথে এ কাজ করছেন আবু বকর। টিনের ঘর তৈরিতে সুদক্ষ আবু বকর ১২ বছরে অসংখ্য ঘর তৈরি করেছেন। তার নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় অল্পদিনের মধ্যেই দাঁড়িয়ে যায় দৃষ্টিনন্দন বাহারি সব ঘর। নিজ হাতে তিনি মনের মাধুরি মিশিয়ে বানিয়েছেন নিজের বসত ঘরটিও।

এ এলাকায় কাঠমিস্ত্রি হিসেবে তার আছে বিশেষ চাহিদা এবং সুনাম। তাই ঘর তৈরির জন্য আবু বকরকে ছুটে যেতে হয় দূর দূরান্তেও। এর জন্য প্রয়োজন হয় বাহনের। মোটর সাইকেলে চলাচল বেশ ব্যয় সাপেক্ষ। তাই কাঠের কাজ করতে করতেই আবু বকরের আচমকা মনে হল কাঠ দিয়ে একটি সাইকেল বানাবেন। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ধীরে ধীরে আবু বকর তৈরি করে ফেলেছেন বিশেষ একটি বাহন, যা বেশ সাশ্রয়ী। কাঠের সাইকেল হলেও ইতিমধ্যে তিনি সাইকেলে সংযুক্ত করেছেন আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। কাঠের এই সাইকেলে লাগিয়েছেন সোলার সিস্টেম। আছে ১২ ভোল্টের ব্যাটারি। আছে লাইট, হরণ, মোবাইল চার্জার, গতি মাপার মিটার, ব্রেক সহ অনেক কিছু। এই সাইকেল একাধারে সোলারে চলে, চালাতে পারেন ব্যাটারিতে। আর পায়েতো চালাতে পারেনই। রাস্তায় চাকা নষ্ট হয়ে গেলে সারানোর জন্য সাইকেলের সাথেই আছে পাম্পার সহ বিকল্প টায়ার। এই কাঠের সাইকেলেই আবু বকর পাড়ি দিয়েছেন এক জেলা থেকে আরেক জেলায়ও।

২০২৩ সালের ৬ অক্টোবর তিনি তার অভিনব এই সাইকেল বানানো শুরু করেন। ধীরে ধীরে সাইকেলে যুক্ত করেছেন প্রয়োজনীয় সবকিছু। চমৎকার এ বাই সাইকেলটি তৈরি করতে এ পর্যন্ত তার খরচ হযেছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আবু বকর তার সাইকেলের একটি বাহারি নামও দিয়েছেন—সারাংপুরী। ইতোমধ্যে সারাংপুরী সারাংপুরের মানুষের কাছে অর্জন করেছে তুমুল এক জনপ্রিয়তা। সাইকেল দেখতে আবু বকরে বাড়িতে ভিড় করছেন দূর দূরান্ত থেকেও। আবু বকরে এ অভিনব উদ্ভাবনে গর্বিত তার পরিবার ও এলাকার মানুষ। তাদের বিশ্বাস যথাযথ সহযোগিতা পেলে আবু বকর এরকম আরও ভালো কিছু উদ্ভাবন করতে পারবেন।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ