শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ।। ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাজী নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণার গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন ৯ ডিসেম্বর ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূত হেফাজতের পল্টন জোনের সভাপতি সালাহ উদ্দিন, সম্পাদক সিরাজী ও সাংগঠনিক সাখী ভারতের হিন্দুদের চেয়ে বাংলাদেশের হিন্দুরা আরামে আছে: মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব হাব নির্বাচন ২২ ফেব্রুয়ারি, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন প্যানেল! মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিএনপির বিশাল কর্মী সমাবেশ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে, নেই ভারতে: হেফাজত মহাসচিব ভোলায় হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত কুখ্যাত ডাকাত গ্রেফতার কাল সোহরাওয়ার্দী মুক্তমঞ্চে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে যুদ্ধ করতে চায়: ফয়জুল করীম

চরমোনাইয়ের বার্ষিক মাহফিল : উদ্বোধন কাল, আখেরি মোনাজাত ২৫ নভেম্বর


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

 শহিদুল ইসলাম কবির

লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে আগামী বুধবার (২২ নভেম্বর) জোহরের পর বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের বয়ানের মধ্য দিয়ে চরমোনাইয়ের তিনদিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে।

এবারের মাহফিলে আগত দেশি-বিদেশি শ্রোতাদের জন্য ইতোমধ্যে দুটি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। আগত শ্রোতাদের যাতে মাহফিল শুনতে সমস্যা না হয় সেজন্য টানানো হয়েছে সামিয়ানা, লাগানো হয়েছে প্রয়োজনীয় লাইট ও মাইক। ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যাপ্ত বাথরুমেরও।

সড়ক পথে গাড়ি রিজার্ভ করে যারা আসবেন তাদের গাড়ি পার্কিংয়ের নির্ধারিত যায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে।
এদিকে, গত ১০ নভেম্বর থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শ্রোতারা রিজার্ভ ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে মাহফিল মাঠে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। লঞ্চ ও ট্রলারে করে মানুষের আগমন শুরু হয়েছে ১৮ নভেম্বর থেকে।

গতকাল ২০ নভেম্বর ও আজ ২১ নভেম্বর ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন নদী বন্দর থেকে রিজার্ভ লঞ্চে এ শ্রোতাদের উল্লেখযোগ্য অংশ মাহফিলস্থলে উপস্থিত হবেন।

চরমোনাই বার্ষিক মাহফিল বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ইসলামী জমায়েত। নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে নেককার ও আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজকে গড়ে তুলতে ১৯২৪ সাল থেকে চরমোনাই মাহফিলে মুসল্লিদের আগমন শুরু হয়।

তিনদিনের মাহফিলে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ও নায়েবে আমীরুল মুজাহিদিন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম সাতটি বয়ান শ্রোতাদেরকে দ্বীনের পথে পরিপূর্ণভাবে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। এছাড়া দেশ-বিদেশের উল্লেখযোগ্য ওলামা মাশায়েখদের বয়ান শ্রোতাদেরকে দ্বীনের পথে চলতে উৎসাহ যোগায়।

মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বেলা ১০টা ৩০ মিনিটে এ চরমোনাই মাহফিলে আগত ওলামা মাশায়েখ ও বুদ্ধিজীবীদেরকে নিয়ে ওলামা মাশায়েখ বুদ্ধিজীবী সম্মেলন, তৃতীয় দিন বেলা ১০টা ৩০ মিনিটে আগত ছাত্রদের নিয়ে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এছাড়া মঞ্চের বাইরে সুবিধাজনক স্থান ও সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম সমাবেশ, শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষক সমাবেশ, যুবকদের নিয়ে যুব সমাবেশ, শ্রমজীবী মানুষের অংশগ্রহণে শ্রমিক সমাবেশ, মুয়াল্লালিমদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।

মাহফিলে আগত শ্রোতাদেরকে তিন দিনে হাতে কলমে নামাজসহ জরুরি মাসআলা-মাসায়েল প্রশিক্ষণ, সুরা ক্বেরাত প্রশিক্ষণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। কয়েক হাজার ভাগে ভাগ করে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন মাদরাসাসমূহের মোয়াল্লিমদের মাধ্যমে এই হাতে কলমে প্রশিক্ষণের কাজ করা হয়।

মাহফিলে শ্রোতাদের জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য ১০০ বেডের অস্থায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ও রোগীদের বিনমূল্যে ঔষধ দেয়া হয়।

আগামী ২৫ নভেম্বর সকাল ৮-৯ টার দিকে আখেরি বয়ানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে চরমোনাই পীরের মোনাজাতের মাধ্যমে তিনদিন ব্যাপী মাহফিলের কার্যক্রম সমাপ্ত করবেন।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ