সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ।। ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আগুন-ককটেল হামলাকারীকে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের রূপসায় হাতপাখার গণসংযোগে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে দেওয়া হবে না : নেতানিয়াহু বিশ্ব অপরিণত নবজাতক দিবস ২০২৫: জীবন রক্ষায় সচেতনতার নতুন অঙ্গীকার মাওলানা ফজলুর রহমানের সিলেট আগমন উপলক্ষে ইস্তেকবাল প্রস্তুতি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাস–ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ৪ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইসিকে ইসলামী আন্দোলনের ১২টি প্রস্তাবনা অপরাধ কমাতে প্রয়োজন সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা: ড. এম এ কাইয়ুম জমিয়তের সুধী সমাবেশ মঙ্গলবার, প্রধান অতিথি মাওলানা ফজলুর রহমান মারকাযু দিরাসাতিল ইকতিসাদিল ইসলামী পরিদর্শনে মুফতি তাকী উসমানীর সাহেবজাদা

সিনেমা হলটি যেভাবে রূপ নিল মসজিদে!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ছিল সিনেমা হল। সেখানে দেখানো হতো বাংলা ছায়াছবির নানা দৃশ্য। তবে সময়ের পরিক্রমা সেই সিনেমা হলটি আজ মসজিদে রূপ নিয়েছে। এক সময় যেখানে অশ্লীলতার চর্চা হতো সেখান থেকে এখন হেদায়াতের আলো ছড়ানো হচ্ছে। 

বলছিলাম ঝালকাঠি শহরের প্রাণকেন্দ্র কালিবাড়ি রোডস্থ আমতলা মোড়ের উত্তরপূর্ব পাশের ‘মিতু’ নামের সিনেমা হলটির কথা। এটি বেশ কয়েক বছর ধরে মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে ভবনটি ‘খানকায়ে মুছলিহীন ঝালকাঠি’ ও ‘কায়েদ মহল’ নামে পরিচিত। 

ঝালকাঠি শহরে তিনটি সিনেমা হল ছিল এক সময়। মিতু ছাড়াও পালবাড়ি এলাকায় ‘পলাশ’ ও লঞ্চঘাট এলাকায় ‘রূপালী’ নামক ২টি সিনেমা হল ছিল। দর্শকের অভাবে অনেক আগেই পলাশ ও রূপালী বন্ধ হয়ে যায়। তবে ‘মিতু’ -তে বাংলা ছায়াছবি প্রদর্শন চলছিল। শেষ পর্যায়ে কুরুচিপূর্ণ অশ্লীল সিনেমাও দেখানো হতো বেশি টিকিট বিক্রির আশায়। যার অশালীন পোস্টারে সয়লাব থাকতো ঝালকাঠি শহর। 

বিষয়টি দেখে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসা ও ইসলামী কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আজিযুর রহমান নেছারাবাদী (কায়েদ সাহেব)। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, এই জায়গাটা একসময়ে নামাজের স্থান হবে। উচ্চস্বরে আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে নামাজের জন্য আহ্বান করা হবে। তার প্রায় দেড়যুগ পরে সেই কথা বাস্তবে রূপ নিয়েছে।

‘মিতু’ সিনেমা হলটি ২০১১ সালের পৌর নির্বাচনের সময় বন্ধ হয়ে যায়। মূলত অশালীন সিনেমা প্রদর্শনের কারণে সুস্থধারার বিনোদনপ্রেমীরা সিনেমা হল বিমুখ হয়ে যান। হলটির মালিক ২০১১ সালে পৌর নির্বাচনের সময় বিক্রি করে দেন। পরে ক্রেতা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী মাহবুব হোসেন ওই ভবনটিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় এবং অন্য ব্যবসার কাজে ব্যবহার করেন।

একপর্যায়ে মাওলানা কায়েদ সাহেবের ছেলে মাওলানা মুহা. খলিলুর রহমান নেছারাবাদী ব্যবসায়ী মাহবুব হোসেনের সঙ্গে চুক্তি করে ভবনসহ জমিটি কিনে নেন। স্থাপনার অবকাঠামোগত কিছু পরিবর্তন করে সেখানে একটি খানকাহ স্থাপন করেন। যার নাম দেওয়া হয় ‘কায়েদ মহল’। ওই সময় থেকেই আজান দিয়ে জামায়াতে নামাজ আদায়, জিকির আসগারের পাশাপাশি সাপ্তাহিক ও মাসিক তা’লিমি জলসা পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও আদর্শ সমাজ বাস্তবায়ন পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কার্যক্রমসহ ধর্মীয় বিষয়ের অনেক অনুষ্ঠান এখানে আয়োজন করা হচ্ছে।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ