শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মসজিদে নববীর ইমামের পেছনে নামাজ পড়তে মালদ্বীপে মুসল্লিদের ঢল আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস নারী সংস্কার কমিশন বাতিল না করলে আন্দোলনের দাবানল জ্বলবে: হেফাজত আটপাড়ায় হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ মজলিসে আমেলার বৈঠকে জমিয়ত, রাত পোহালেই কাউন্সিল কাল ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল, প্রস্তুতি সম্পন্ন ‘রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার না হলে আবারও ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দেবে’ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) সেবা ফাউন্ডেশনের কিতাব বিতরণ "পাশ্চাত্যের শক্তি নয় আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এদেশের কোরআনপ্রেমী জনতা”

সৌদির যে খেজুর কারখানার সব কর্মীই নারী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সৌদি আরবের একটি খেজুরের প্যাকেজিং কারখানার শুরু থেকে শেষ সবকিছুই পরিচালনা করেন নারীরা। কারখানাটিতে শতাধিক নারী কাজ করেন। তাদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা, অ্যাকাউন্টিং, মান নিয়ন্ত্রণ এবং প্যাকেজিং থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পর্যন্ত সব ধরনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীই নারী।

ইবনে জাইদ নামের কারখানায় ডেট প্যাকেজ পরিবহনের জন্য একটি ফর্কলিফট চালান আকিলাহ আলি। তিনি বলেন, 'প্রথমে কিছু অসুবিধা ছিল- ভারী পরিবহন ট্রাক চালানো শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য বলে মনে করা হয়েছিল। তবে আমি খুশি যে আমি প্রমাণ করতে পেরেছি নারীরা নতুন ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে এবং সফল হতে পারে।'

ইবনে জাইদ কারখানা সৌদি আরবের আল-আহসায় অবস্থিত। এটি খেজুর উৎপাদন ও বিক্রি করে। স্থানীয় অনুমান অনুসারে, আল-আহসায় প্রায় ২০ লাখ খেজুর গাছ রয়েছে। এর থেকে প্রতি বছর ১ লাখ টন খেজুর উৎপাদন হয়।

কারখানাটি পূর্বে বিদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের দ্বারা পরিচালিত হতো। কিন্তু এর মালিক দেশটির শ্রমশক্তিতে নারীদের একীভূত করার নতুন দিকনির্দেশনা মেনে সৌদি নারীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন।

কারখানাটি এখন পুরোপুরি নারীরাই পরিচালনা করে আসছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সৌদি আরব নারীর উপস্থিতি বাড়াতে বেশ কিছু সংস্কার চালু করেছে। ২০১৭ সালে বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ঘোষণা করেছিলেন যে, নারীরা গাড়ি চালাতে পারবে।

ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ভিশন ২০৩০ সংস্কার পরিকল্পনাও চালু করেছেন। এর লক্ষ্য সৌদির অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনা এবং নারীর শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।

এরপর কয়েক ডজন মহিলাকে সরকারি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, অভিভাবকত্ব আইনটি নির্মূল করা হয়েছে এবং নারীদের একা থাকার জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই।

সূত্র: আল আরাবিয়্যাহ

টিএ/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ