শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ।। ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৫


‘মানব সভ্যতার সূচনাকাল থেকেই দাওয়াত ও তাবলিগ চলে আসছে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।জামিল আহমদ।। দীর্ঘ দুই বছর পর টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাবলিগ জামাতের সর্ববৃহৎ জমায়েত ঐতিহাসিক বিশ্ব ইজতেমা। ইজতেমা উপলক্ষে আওয়ার ইসলাম কর্তৃক প্রকাশিত হচ্ছে ‘ইজতেমা প্রতিদিন’।

অধ্যাপক মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী
সিনিয়র নায়েবে আমীর, খেলফত মজলিস ও সাবেক মহাপরিচালক, বেফাক

ইসলাম মহান আল্লাহর মনোনীত দীন। ইসলামের প্রচার ও প্রসারে আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক মুসলমানের ইমানি দায়িত্ব। ইসলামের প্রচারের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে দাওয়াতি কাজ। সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মাণে দাওয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম। মূলত বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা ক্রমশ এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ন্যায়নীতি আজ বিলুপ্তপ্রায়। জুলুম-নির্যাতন, হত্যা, লুণ্ঠন, ঘুষ-দুর্নীতি প্রভৃতি পাপাচারের বিষবাষ্পে জাতি আজ দিশেহারা। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে দাওয়াতের ব্যাপক প্রসারের বিকল্প নেই। দাওয়াত ও তাবলিগের মাধ্যমে আল্লাহর দীন তথা ইসলাম আল্লাহর জমিনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে যুগে যুগে।

আর এ কাজের জন্যে মহান আল্লাহ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষগুলোকে বেছে নিয়েছেন। নবী-রাসূলদের মূলতঃ দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ দিয়ে দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। সে মতে মানব সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে মানবসমাজে দাওয়াত ও তাবলিগের কাজ চলে আসছে। হযরত আদম আলাইহিস সালাম ছিলেন পৃথিবীর প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী। সুতরাং এটাই বাস্তবতা যে, দীনের দাঈর আগমনের মাধ্যমে পৃথিবীতে মানবসভ্যতার সূচনা।

মুসলিম বিশ্বে তাবলিগের প্রভাব ও বিস্তার লাভ করেছে, এর প্রধানতম কারণ হলো- তাবলীগি মুরব্বীদের ইখলাস। দীনের প্রতি তাদের দরদ। পথহারা মানুষকে সুপথে নিয়ে আসার যে তাড়নাসহ দায়ীদেও সদাচরণসহ অনেক কারণ রয়েছে।

আধুনিক বিশ্বে দাওয়াতের যে পদ্ধতি হওয়া উচিত, তা হলো- গোটা বিশ্ব আধুনিকায়নের দিকে যাচ্ছে, তা মাথায় রেখে নতুন নতুন দাওয়াতের আধুনিক পদ্ধতি উদঘাটন করা। যাতে সাধারণ মানুষসহ আধুনিকরা এই মেহনতের দিকে আকৃষ্ট হয়। যে দেশে দাওয়াতী কাজ করার ইরাদা থাকবে সে দেশের কৃষ্টি কালচার, ধর্মীয় অবস্থা জানা এবং ্ওই অবস্থার প্রেক্ষিতে দাওয়াতের পরিক্লপনা করা।

আর দায়ীদেও যেসব গুণাবলি থাকা উচিত, তা হলো- পবিত্র কুরআনেই আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, তোমরা মানুষকে আল্লাহর দিকে আহবান করো; জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে আর তাদের সঙ্গে বিতর্ক করুন উত্তম পন্থায়। [সুরা নাহল- ১২৫] দায়ীদের মাঝে এই গুণটা থাকতেই হবে। সবসময়ই মধ্যম পন্থা অবলম্বন করতে হবে। দায়ীদের ভাষা জ্ঞানও থাকতে হবে উচু পর্যায়ের। যারা দ্বারা সবাই তার কথা শোনার প্রতি আগ্রহ তৈরী। এবং একাধিক ভাষা জানা থাকলে বেশ সুবিধা হয়। যাকে দাওয়াত দিবে সম্ভব হলে তার সম্পর্কে জেনে নেওয়া। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করা ইত্যাদি।

তাবলিগের জোর মিল মহব্বত ফিরিয়ে আনা সম্ভব। দুনিয়াতে যত বড়ই সমস্যা হয় না কেন তার সমাধান অবশ্যই আছে। কিন্তু যেকোনে সমস্যার শুরুতেই যদি এর সমাধানের লক্ষ্যে ঘরোয়াভাবে বসে সরাসরি কথা বলা যেতো সেটা আরো সুন্দও হতো। কিন্তু তাবলিগের ক্ষেত্রে আমরা তা করতে পারিনি। এখন যদি তাবলিগের উসুল মেনে জোর মিল মহব্বত ফিরিয়ে আনা যায় তাহলে তো অনেক ভালো হয়। তবে, উসুলের বাহিরে যাওয়া যাবে না।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ